আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বছরে একবার সন্তান জন্মদান করার ক্ষমতা থাকে মেয়েদের। তবে একসঙ্গে তিন বা চারটা বাচ্চা জন্ম দেয়ার কথা কখনো কখনো শোনা যায়। কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার যে তথ্য দিচ্ছে তা এক কথায় অসম্ভব।
৬৭ বছর বয়সী নানখাই নামক এক বৃদ্ধার স্বামী ২৫ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে ১০ মাসে পাঁচবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ প্রতি দুই মাসে একটি করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের বাহরাইচ জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রিপোর্টে এমনই এক কেলেঙ্কারির খবর উঠে এসেছে। ওই নারী বলছেন, এ তো খুবই খারাপ। হাসপাতালে টাকা আসতো। সেই টাকাই চলে গেছে কর্তা ব্যক্তিদের পকেটে। আমি একজন ৬৭ বছরের বৃদ্ধা, আর আমার নামেই কিনা এরকম কেলেঙ্কারি!
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক অন্তঃসত্ত্বা নারী পিছু উত্তর প্রদেশ সরকার ১৪০০ টাকা করে দেয়। সেই হিসেবে ৫২ হাজার ৫৫৭ জন নারীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাত কোটি টাকা।
এই হিসেব অনুযায়ী, জেলাগুলোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দিনে ১০টি করে শিশুর জন্ম হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এত সংখ্যক শিশু প্রসব করানোর পরিকাঠামোই নেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। এত বড় কেলেঙ্কারির অভিযোগে শুধুমাত্র অধস্তন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই দায় সেরেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বাহরাইচ জেলার প্রধান মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পাঁচজনকে সন্দেহের তালিকায় নেয়া হয়েছে এবং দুইজনকে শাস্তিমূলক ট্রান্সফার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের বদাউনে এই অভিযোগ আগেও অনেকবার এসেছে। দেখা গেছে একজন অন্তঃসত্ত্বা নাীরর নামে চার মাসে তিনবার বাচ্চা জন্ম দেয়ার রেকর্ড আছে।
এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ড. সুবোধ শর্মা।
আপডেট : বাংলাদেশ সময় : ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, ২০ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শনিবার ০৪ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫