বাংলাদেশে শেষ হয়ে আসিছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্মিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের মজুদ। এর ফলে ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন প্রায় ১৪ লাখ মানুষকে নতুনভাবে ভ্যাকসিনের চালান না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে।
সোমবার ৩ মে পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৮ লাখ ৪০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মজুদ রয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন। যাদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের সবার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে মোট ২৭ লাখ ৯০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী,দেশে প্রতিদিন ১ লাখের বেশি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সোমবার ৮৬ হাজার ৯২৬ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দোজ দেওয়া হয়েছে। এই হারে টিকা দেওয়া চললে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মজুদ শেষ হয়ে যাবে। এর অর্থ দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন না ১৩ লাখ ৪০ হাজার জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা.রোবেদ আমিন বলেন,‘ যদি প্রতিদিন ১ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়- তাহলে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে মজুদ শেষ হয়ে যাবে। ’
এর আগে সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়। বাংলাদেশে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সরবরাহকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট গত মার্চে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির চালান বন্ধ করে দেয়। এর আগে প্রতিষ্টানটি থেকে মাত্র দুই চালান ভ্যাকসিন দেশে এসেছিলো।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের মাধ্যমে দেশে সেরাম থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসার কথা ছিল। এভাবে ছয় মাসে ৩ কোটি ভ্যাকসিন দেশে আনার চুক্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সেরাম থেকে বাংলাদেশ মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আরও ৩৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ।
তবে সরকার আশা করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের নতুন চালান শিগগিরই আসা শুরু করবে। সেগুলোই দ্বিতীয় ডোজ বাকি থাকা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে।
এদিকে সেরাম থেকে ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিতের ঘোষণার পর দেশে রাশিয়ার স্পুটনিভ-ভি ও চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আশা করা হচ্ছে মে মাসের মধ্যে রাশিয়া থেকে ৪০ লাখ ডোজ ভযাকসিন বাংলাদেশে আসবে। এছাড়া চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে চীন থেকে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে।
বার্তা কক্ষ, ৫ মে ২০২১