Home / জাতীয় / ১শ’ কোটি টাকা লোপাট : জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
১শ’ কোটি টাকা লোপাট : জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

১শ’ কোটি টাকা লোপাট : জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক (ডিসি) বেগম হাসিনা দৌলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলা পরিষদের ভূয়া প্রকল্পের নামে প্রায় ১০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একই সঙ্গে এ দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য চেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিবের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করে নোটিশ পাঠান দুদকের উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম। ঢাকা জেলা পরিষদে পাঠানো ওই নোটিশে আগামী ২১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দুদক সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

দুদকে আসা অভিযোগে বলা আছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ঢাকার নবাবগঞ্জের ‘যন্ত্রাইল কবরস্থান উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো কাজ না করেই প্রায় দেড় বছর আগে প্রথম চলতি বিলে কাজের ৭৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ১০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ঢাকার নবাবগঞ্জ ‘অফিসার্স ক্লাব সংস্কার’ প্রকল্পে কোনো সংস্কার কাজ না করেই জেলা পরিষদ থেকে চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়। ২৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের নবাবগঞ্জ আধুনিক মার্কেট মেরামত প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিরাট অংকের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়। ওই তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদন দুদকে এলে, তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে সমবায় মন্ত্রণালয় তথ্য সরবরাহ না করায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিবের (জেলা পরিষদ অধিশাখা) কাছে আবারও তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে প্রথমে ১৭ সেপ্টেম্বর তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। এবারের চিঠিতে আগামী ২৫ অক্টোবর সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের কাছে পাঠোনো চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৯ মার্চ ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলা ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ১৭ পৃষ্ঠার এক তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়।

এরপর জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব ৪৮৪ পৃষ্ঠার আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগের সচিবের কাছে দাখিল করেছেন। চিঠিতে ৪৮৪ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত কপি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিবকে দুদকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই চিঠিতে ঢাকা জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের নথি ও নোটিশসহ যাবতীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি দুদকে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১১: ২১ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার

ডিএইচ/২০১৫।