সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রয়্যাল এয়ার ফোর্সের টর্নেডো বিমান প্রথমবারের মতো আইএসকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের আইনপ্রণেতারা বুধবার এক ভোটাভুটিতে এই হামলার অনুমোদন দেন। অনুমোদন দেয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সিরিয়ায় আক্রমণ করল দেশটির বিমানবাহিনী।
অনুমোদনের পর পরই সাইপ্রাস দ্বীপের আকরোতিরি ঘাঁটি থেকে ছেড়ে গিয়েছিল এই টর্নেডো বিমানগুলি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর প্রথম আক্রমণাত্মক হামলা চালানো হয়েছে। সাইপ্রাসের ঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই হামলা শেষে আবারো ঘাঁটিতে ফিরেছে চারটি টর্নেডো বিমানের দুটি। বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টার দিকে ঘাঁটিতে ফিরে আসে বিমান দুটি।
বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক জনাথন বিয়েল জানিয়েছেন, টর্নেডোগুলো যখন রয়্যাল এয়ারফোর্সের ঘাঁটি ছেড়ে যায়, তখন এগুলোতে ছিল তিনটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা। বিমান দুটি যখন ফিরে আসে, তখন সেগুলোতে আর কোনো বোমা ছিল না। লক্ষ্যবস্তু এবং হামলার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবে।
বিমান হামলার ঘটনা আজ প্রথম হলেও যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স আগে থেকেই সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়।
এর আগে, বৃটিশ সামরিক বাহিনীকে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে বৃটেনের সংসদ সদস্যরা। দশ ঘণ্টারও বেশি বিতর্কের পর ৩৯৭ জন এমপি ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষের চাইতে তারা ১৭৪টি ভোট বেশি পান।
ভোটের ফলাফল জানার সঙ্গে সঙ্গে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভ দেখা যায়।
এর আগে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, বৃটেনে আইএস জিহাদিদের হামলার জন্য অপেক্ষা না করে লড়াইটা আইএসের কাছে নিয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে। -বিবিসি
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ১১:৩৪ এএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার