খেলাধুলা

হ্যাটট্রিক করে দেশকে বিশ্বকাপে তুললেন জাদুকর মেসি

স্বপ্নভঙ্গের আতঙ্ক পেয়ে বসেছিল আর্জেন্টিনাকে। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে এসেও যে প্রশ্নটা ঝুলে ছিল—রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে তো?

দেশের এমন ভীষণ প্রয়োজনের মুহূর্তে লিওনেল মেসিকে দেখা গেল স্বরূপে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কিটোয় একাই লড়ে মেসি বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে শুধু সত্যিকারের কিংবদন্তিরাই ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসির এ কথা প্রমাণের কিছু নেই; যদি থেকে থাকে সেটা জাতীয় দলের জার্সিতে। কিটোয় মেসির হ্যাটট্রিকের পর হয়তো সে প্রয়োজন ফুরোল। একটা দেশকে একাই বিশ্বকাপে টেনে নেওয়ার উদাহরণ যে খুব বেশি নেই!

হ্যাটট্রিক করে দেশকে বিশ্বকাপে তুললেন মেসি। এমন আনন্দ তাঁকেই মানায়। ছবি: এএফপি

স্বপ্নভঙ্গের আতঙ্ক পেয়ে বসেছিল আর্জেন্টিনাকে। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে এসেও যে প্রশ্নটা ঝুলে ছিল—রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে তো?

দেশের এমন ভীষণ প্রয়োজনের মুহূর্তে লিওনেল মেসিকে দেখা গেল স্বরূপে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কিটোয় একাই লড়ে মেসি বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে শুধু সত্যিকারের কিংবদন্তিরাই ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসির এ কথা প্রমাণের কিছু নেই; যদি থেকে থাকে সেটা জাতীয় দলের জার্সিতে। কিটোয় মেসির হ্যাটট্রিকের পর হয়তো সে প্রয়োজন ফুরোল। একটা দেশকে একাই বিশ্বকাপে টেনে নেওয়ার উদাহরণ যে খুব বেশি নেই!

২০১৮ বিশ্বকাপের প্লে অফ নিশ্চিতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জিততেই হবে—এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নেমে খেলা শুরুর ১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আর্জেন্টিনা ম্যাচে এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। ১২ মিনিটে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার ক্রস থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মেসি। এর ৮ মিনিট পর দুর্দান্ত এক দৌড়ে মেসি ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলেন ইকুয়েডর রক্ষণভাগকে।

বাঁ প্রান্ত থেকে চকিত শটে মেসির গোলটি রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগ পর্যন্ত স্বস্তি দেবে গোটা আর্জেন্টিনাকে। লাতিন আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটা ছিল মেসির ২০তম গোল। মহাদেশটির বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি এখন মেসির।

৩২ মিনিটে মেসির ডিফেন্সচেরা থ্রু থেকে জয়ের ব্যবধান ৩-১ করতে পারত আর্জেন্টিনা, যদি ডি মারিয়া ব্যর্থ না হতেন। তবে ম্যাচের স্কোরলাইনটা শেষ পর্যন্ত ওটাই থেকেছে, সেটাও মেসির অনিন্দ্যসুন্দর গোলের কল্যাণে। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে সতীর্থের পাস বুক দিয়ে নামালেন মেসি।

বলটা সামনে পড়ল তাঁর বাধ্যগত ছাত্রের মতো! সামনে ইকুয়েডরের তিন ডিফেন্ডার। রোজারিও নদীর বহতা স্রোতের মতো তাঁদের এঁকেবেঁকে পাশ কাটিয়ে টপকে গেলেন মেসি। এরপর গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তাঁর সেই চিরাচরিত মসৃণ ‘লব’ এবং গোল! দেশের জার্সিতে এটা ছিল মেসির পঞ্চম হ্যাটট্রিক। সব মিলিয়ে ৪৪তম ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিক!

চলতি বছর ক্লাব ও দেশের হয়ে মোট ৪৯ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যাও ৪৯। এমনিতেই তাঁর গোটা ক্যারিয়ারই গোল দিয়ে সাজানো। কিন্তু আজকের হ্যাটট্রিক ছিল অন্য রকম, বলতে পারেন একধরনের বার্তাও—মেসি শুধুই বার্সার নয়, আর্জেন্টিনারও!

Share