চাঁদপুর সদরে বিক্রিকৃত সম্পত্তি ৪ বোনের অংশ বুঝিয়ে দিয়ে আবার তাদের থেকে জমি পাবেন বলে ৪ জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভাই মুহাঃ শাহাদাত হোসেন খান। যার নং- ১২০৬/২০২৪, ২২/১০/২০২৪ ইং।
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের পশ্চিম হোসেনপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান বকুল খান বাড়ির সামনে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ১৪৫ ধারার একটি নোটিশ সাটানো আছে। তবে বায়নাসূত্রে জমির মালিকরা আদালতের নির্দেশকে সন্মান জানিয়ে ডোবা ভরাটের কাজ বন্ধে রেখেছেন। বর্তমানে কার্যক্রম স্থিতি অবস্থায় রয়েছে।
জানা জায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের পশ্চিম হোসেনপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান বকুল খান বাড়ির সামনের ১৪ শতাংশ জমি গত ১৯ সেপ্টেম্বর ৪ মাসের জন্য ফাতেমা বেগম ও জহুরা বেগমের কাছ থেকে ২৮ লক্ষ টাকার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকায় বায়না করেন মোঃ ইসমাইল হোসেন, তাজুল ইসলাম ও সোহেল মাল। যার বিএস নং-৫০২, সিএস দাগ নং-২৭১/২৭২।পরে বায়না সূত্রে মালিকরা ডোবা বালি দিয়ে ভরাট শুরু করেন। এই বায়নাকৃত জমি বুঝিয়ে দেন ফাতেমা বেগম, জোহুরা বেগম ও তার ভাই মুহাঃ শাহাদাত হোসেন খানসহ কয়েকজন। মুহাঃ শাহাদাত হোসেন খান বোনদের কাছ থেকে জমি পাবেন বলে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।বায়নাসূত্রে জমির মালিকরা আদালতের নির্দেশকে সন্মান জানিয়ে ডোবা ভরাটের কাজ বন্ধে রেখেছেন। বর্তমানে কার্যক্রম স্থিতি অবস্থায় রয়েছে।
জমি বিক্রেতা নুরুল্লাহ মোহসীন বলেন, আমার মা খালারা ৪ জন। আমার নানা ওসিহত করে ১ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা দেন। আমার মামা শাহাদাত উপস্থিত থেকে জায়গা মেপে বুঝিয়ে দেন এবং দলিল করার সময়ও স্বাক্ষী-সনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর ছিল। এই জমি বিক্রয়ের সময়ও তিনি সহযোগিতা করেন। হঠাৎ কি কারনে মামা নিষেধাজ্ঞা ও বিশৃঙ্খলা করছে।
জমি ক্রেতা তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এই জমি অসিহতনামা দলিলমূলে কিনেছি। জোহরা বেগম ও ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। ডোবা ভরাট করা অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে শাহাদাত খান কেন জায়গা বিক্রির পর বিশৃঙ্খলা করতেছে বুঝতেছি না। তবে আমরা আদালতের নির্দেশকে সন্মান জানিয়ে ডোবা ভরাটের কাজ বন্ধে রেখেছি।
মোঃ হাসান প্রধানিয়া বলেন, আমি গত ২ এপ্রিল বিএস ১৫০, ১৬০, ৩২১, ৩২৬, ৩৫২, ৩৭১ ও সিএস ৫৫, ৫৬, ১৫৮, ১৮৭, ২১৬, ৩০৯ দাগে সাবকাওলা দলিল সূত্রে ১২০.৫ শতাংশ জমি ফাতেমা বেগম ও জহুরা বেগমদের কাছ থেকে ক্রয় করি। দুই মাস পূর্বে জানতে পারি এই ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে মামলা হয়েছে। যেভাবে হউক আমাদেরকে হয়রানি না করে জমি বুঝিয়ে দেয়া হউক।
জহুরা বেগম বলেন, আমার বাবা জীবিত অবস্থায় আমাদের ৪ বোনকে দলিল জমি দিয়ে গেছেন। তবে আমার ভাই শাহাদাত হোসেন খান আমাদের জমি বিক্রয়ের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং জমি মাপার সময় উপস্থিত ছিলেন। এমনকি দলিল করার সময় তার স্বাক্ষরও ছিল। এখন সে বোনদের কাছে জমি পাবে বলে আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হয়রাণি করছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শাহাদাত হোসেন খানের ব্যবহ্নত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪