তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কর্মী নন। বড় নেতা কিংবা মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনও নন তিনি। ছিলেন না জেলাবাসীর কাছে তেমন কোন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। প্রথমবারের মত অংশ নিয়েছেন জেলা পরিষদের মত বড় একটি নির্বাচনে। আর প্রথমবারেই চমক দেখালেন গোটা জেলাবাসীকে। ফলে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়েও এখন আলোচনায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (অস্টেলিয়া প্রবাসী) জাকির হোসেন প্রধানিয়া।
তিনি দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হ্যাবিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারীর কাছে মাত্র ২১০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। যেখানে ভোটের একদিন আগেও জাকির হোসেন প্রদানিয়াকে ভোটের অংকে তেমন কোন অবস্থানে রাখেনি কেউ, সেখানে ১২৫৯ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন (মোবাইল প্রতীকে) ৫২২ ভোট। আর বিজয়ী প্রার্থী আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী পেয়েছেন (মোবাইল প্রতীকে) ৭৩৮।
এদিকে জাকির হোসেন প্রধানীয়ার এই বিপুল সংখ্যক ভোট প্রাপ্তিতে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনীতি দল এবং বোদ্ধামহলে বিভিন্ন কথা চাউর হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝেও দেখা দিয়েছে নানা গুঞ্জন ও কৌতূহল। কথা উঠেছে ওসমান গনি পাটোয়ারীর বিরোধীতিকারি এবং অপর রাজনীতিক দলের ভোটারা আনারস প্রতীকে ভোট দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক সরকার দলের একজন তৃণমূল নেতা বলেন, যদি তাই হবে তাহলে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর ইউনিয়নে মোবাইল প্রতীক এতো ভোট পেলো কেমন করে। এ দুই উপজেলায় মোবাইল প্রতীক সর্বোচ্চ ভোট না পেলে ফলাফল হয়তো উল্টে যেত। তাদের ধারণা এখানে অর্থের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।
তবে সব মিলিয়ে এবারের চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরেও চমক দেখিয়েছেন জাকির হোসেন প্রধানীয়া।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৭ অক্টোবর ২০২২