হেফাজতের তাণ্ডব আড়াল করতেই বিএনপির মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তিতে হেফাজতের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহণে যে তাণ্ডব হয়েছে তা অস্বীকার করা এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচষ্টো করা বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচারেরই বহিঃপ্রকাশ। ভাবছি, কখন যে তিনি আবার বলে বসেন, খালেদা জিয়ার করোনা হওয়ার জন্যও আওয়ামী লীগ দায়ী।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। ‘মার্চের তাণ্ডব হেফাজত নয়, আওয়ামী লীগেরই সাজানো’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ যে ঘটনাপ্রবাহ চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গাসহ সমগ্র বাংলাদেশে ঘটেছে, সেগুলো কারা ঘটিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজেই আছে।

তিনি বলেন, আসামিদের বিচার হচ্ছে, যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। মির্জা ফখরুল যখন এই কথাগুলো বলেন, তখন প্রমাণিত হয় তারা যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তা অস্বীকার করার জন্যই বলেছেন। এরকম জঘন্য মিথ্যাচার একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের কাছ থেকে কখনো কাম্য নয়। তার উচিত ছিল যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিন্দা জানানো, সেটি না করে বরং এভাবে মিথ্যাচার করে এ ধরনের ঘটনাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, এটি কখনো সমীচীন নয়।

জনগণের উত্তাল আন্দোলনে আওয়ামী ভেসে যাবে মির্জা ফখরুলের এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথা আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার ৬ মাস পর থেকে অর্থাৎ ১২ বছর থেকে শুনে আসছি। বাস্তবতা হচ্ছে জনগণের রায় নিয়ে পরপর তিনবার জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছেন, দেশ পরিচালনা করছেন। এসব কথা বলে নিজেরা নিজেদের হাস্যকর করে তুলছেন।

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ঠিক উত্তর দিতে পারবে। তবে এ কথা ঠিক জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছেন।

বিএনপি মহাসচিবের অপর মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করছে’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ফখরুল সাহেব পারিবারিকভাবে দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন। তার বাবা এরশাদ সাহেবের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি আবার খালেদা জিয়ার মন্ত্রী ছিলেন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুর নাম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সব প্রচারযনে্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ক্রমাগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।

গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে মনি্ত্রসভায় যাবে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৩ জুন ২০২১

Share