প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। । আমাদের সম্পদ সীমিত। তা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আজ বুধবার সিলেটের জালালাবাদ সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ নবগঠিত ১১ পদাতিক ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন শেষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় লেবুখালী সেনানিবাসে একটি পদাতিক ডিভিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারে রামুতে আরেকটি পদাতিক ডিভিশন গড়ে তোলা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে এভাবে পদাতিক ডিভিশন গড়ে তুলে আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থৈনেতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
তিনি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা ও সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে কর্তব্য সম্পাদনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
পতাকা উত্তোলনের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো: শফিউল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ বুধবার বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে জিয়ারত করতে যান তিনি। সেখানে জিয়ারত শেষে তিনি হযরত শাহ পরান (রহ) দরবার শরীফে যান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে গঠিত ১১ পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ফারুক খান, দীপু মণি ও মাহবুব-উল-আলম হানিফ ছিলেন।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ