দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন,‘সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে।’
রোববার ২৬ জুন বিকেলে মহাখালীর আইসিডিডিআর, কলেরা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘এক সময় কলেরা ও ডায়রিয়ায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো। এখন তা হয় না। এর পেছনে সরকার ও আইসিডিডিআর,বির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটারির ব্যবস্থা করেছে। সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। আমরা প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছি।’
জাহিদ মালেক বলেন,‘আমরা সব বয়সের মানুষকে ডায়রিয়ার ওরাল ভ্যাকসিন দেবো। ঢাকার সংক্রমণ প্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে এ টিকা দেবো। আমরা প্রথমবারের মতো দেশে এ ভ্যাকসিন দেবো। এর আগে ট্রায়ালে যে সব এলাকায় টিকা দিয়েছি সেখানে কলেরার প্রাদুর্ভাব একদম কমে গেছে। আমরা সংক্রামক রোগগুলো প্রতিরোধে অনেকাংশেই সফল। এখন শুধু সিজনাল রোগ হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।’
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এ বছরের বাজেটে আমরা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। আইসিডিডিআর,বি অধিকাংশ গবেষণা করে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠান গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
‘বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের আমরা করোনার টিকা দিয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শ্রমিকদের কলেরার টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন,‘আমাদের অনেক শ্রমিকের মধ্যে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। আমরা তাদেরও কলেরার টিকা দেবো।’
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আতংকিত না হলেও সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। আমরা বেশি বেশি করোনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেয়া প্রায় শেষ করেছি। আজকের মধ্যে ৭০% নাগরিকের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে। বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
২৬ জুন ২০২২
এজি