জাতীয়

হার্ড লাইনে সরকার : প্রবাসীরা দেশে ফেরা মাত্র সেনা হেফাজতে

মূলত:প্রবাস ফেরত বাংলাদেশিদের অসচেতন কার্যকলাপ ও বেপরোয়া আচরণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত সরকার নির্দেশিত কোয়ারেন্টাইন নীতি অবমাননার জেরে শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংকটে পড়লো বাংলাদেশ। এ ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ।

শেষ পর্যন্ত জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় দেশ ফেরত এ সকল প্রবাসীদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে দেশে ফেরা মাত্র প্রতিটি প্রবাসীকে বাধ্যগতভাবে যেতে হবে সেনা হেফাজতে থাকা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার অধীনে। আর এক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যতিক্রমের প্রচেষ্টা করলেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এমন ঘোষণার কথাই জানিয়েছে দেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর । এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে,বিশ্বব্যাপি মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তৃতির বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দু টি কোয়ারান্টাইনের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। সেগুলি হল,বিমানবন্দর সংলগ্ন হজ ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ি সংলগ্ন রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট কোয়ারান্টাইন।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সকল যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে কোয়ারান্টাইনে স্থানান্তর,ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম এবং সেখানকার আনুষাঙ্গিক সকল প্রকার সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। আর এক্ষেত্রে কোনো প্রবাসী ব্যতিক্রম আচরণে বাধ্য করলে তাকে নেয়া হবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার অধীনে।

মানবিক দিক বিবেচনায় বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের দেশে প্রবেশের অনুমোতি অব্যাহত রেখেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে সেক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছিল,দেশে ফেরা প্রবাসীরা যাতে নিজ পরিবার ও দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে বিমানবন্দর থেকে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে অন্তর্ভূক্ত হন।

যাতে করে তাদের কারও দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে প্রানঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার না ঘটে। কিন্তু কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি আমলে না নিয়ে দেশ ফেরত এসকল বাংলাদেশিদের অধিকাংশই বেপরোয়াভাবে কোয়ারেন্টাইন নীতি উপেক্ষা করে প্রবেশ করেছেন দেশে।

এক্ষেত্রে তাদের বোঝাতে যাওয়ায় বিমান বন্দরে কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত হবার মত অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটেছে। আর এখন তাদের এ ঔদ্ধত্যের খেসারত দিচ্ছে তাদের পরিবারসহ গোটা দেশের মানুষ।

ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২০ মার্চ ২০২০

Share