প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূূরত্ব নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিলেও সচেতনতার এসব কার্যক্রম মানছেন না সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় হার্ডলাইনে যাচ্ছে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও মতলব উত্তর থানা পুলিশ।
সামাজিক দূূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মতলব উত্তর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা ও ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলো টহল অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বাজারগুলোতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য থানা পুলিশ বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দর সাথে আলোচনা করে কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনা সংক্রমন এড়াতে মতলব উত্তরের মানুষকে ঘরে ফেরাতে কাজ করছে মতলব উত্তর থানা পুলিশের ৮টি ইউনিট। উপজেলার প্রতিটি গুৃরত্বপূর্নস্থানে টহল করে কাজ করছে মতলব উত্তরের পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি এবং নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে হার্ডলাইনে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে সরকারি নির্দেশনার আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াত এর তত্ত¡বাবধানে প্রতি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন। প্রতি জনপদে চলছে প্রশাসনের টহল। প্রতিদনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ চলছে পুলিশের কঠোর অভিযান।
বুধবার ১৫ এপ্রিল মতলব উত্তরের ছেংগারচর বাজার, বৌ-বাজার ও গজরা বাজারে জনসচেতনতা তৈরি এবং বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখভাল করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএম জহিরুল হায়াত। ওই সময় তিনি বাজার মনিটরিং এবং স্থানীয় জনসাধারণকে করোনা প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন।
ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বিনা কারণে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময় বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওরঙ্গজেব, ছেংগারচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন ফরাজী, উপদেষ্টা কাউছার মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।
মতলব উত্তর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আতংকে সারা বিশ^। বাংলাদেশে এর ভয়াভহ রুপ নিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষকে সসচেতন করতে না পারলে,আর সবাইকে যদি ঘরে ফিরানো না যায় তাহলে এর প্রতিরোধ সম্ভব নয়। কিছু লোক রয়েছে বিনা প্রয়োজনেও বাজারে কিংবা রাস্তায় ঘুরাফেরা করে। তাদেরকে ঘরে ফিরাতে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে বাজারগুলোতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য মাছ বাজারর ও কাঁচা বাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করনে কাজ করছি। আমাদের পুলিশ সদস্য প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
প্রাণঘাতি এই করোনা প্রতিরোধে সবাইকে ঘরে থাকা এব্ং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার আহবান জানান। তিনি সরকার ঘোষিত সময়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। এ সরকারি অঅইন যদি কেউ অমান্য করে শুধু শুধু বাহিরে ঘুরাফেরা করে তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি ত্রাণ বা অন্য যে কোনো প্রয়োজনে থানার ওসির নাম্বারে ফোন দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে পুলিশ (যাদের ঘরে খাবার নেই) এমন অসহায়দের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিবে।
প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,১৫ এপ্রিল ২০২০