একটা সময়ের পরে বৈবাহিক সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক খুব গৌণ হয়ে যায়। একসঙ্গে থাকা তখন শুধুই একটা অভ্যাসের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
বিয়ের কয়েক বছর পরে শারীরিক সান্নিধ্যের উষ্ণতা ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। এভাবে বাড়তে থাকা দূরত্ব বিয়েটাকে একসঙ্গে থাকার একটা অভ্যাস ছাড়া আর কিছুই বলার অবকাশ রাখে না।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট বিয়ের অনেক পরেও শারীরিক ভালোবাসার উষ্ণতা কীভাবে ধরে রাখা যায় সে মন্ত্রই শিখিয়েছে—
– টেলিভিশন দেখা বা কারও সঙ্গে গল্প করার মতো অলস অবসর সময়ে সঙ্গীর হাত ধরে বসে থাকলে একটা সুন্দর অনুভূতি তৈরি হয়। এতে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়।
– সঙ্গীর স্পর্শ শরীরে ভালো বোধ করায় এমন হরমোনগুলোর ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা বহুগুণে বেড়ে যায়।
– সঙ্গীর বন্ধু হয়ে থাকলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা সহজ ও গাঢ় হওয়ার সুযোগ পায়।
– শারীরিক উষ্ণতার জন্য শরীরকেও সুন্দর ও নিটোল রাখা দরকার। তাই পরিমিত খাবার এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে শরীরকে নিটোল রাখতে হবে।
– উপহার দেওয়ার জন্য বিশেষ উপলক্ষ্যের দরকার নেই। অপ্রত্যাশিত উপহার উচ্ছ্বাসকে বাড়িয়ে দেয়, সঙ্গে ভালোবাসাকেও।
– জীবন থেকে ছুটি নেওয়া সম্পর্ক সুন্দর রাখতে অত্যাবশ্যকীয়। একদিনের জন্য হলেও ছুটি হোক সব কিছু থেকে— কাজ থেকে, প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবন থেকে এবং অবশ্যই সেলফোন এবং ইন্টারনেট থেকেও। এদিনটি শুধুই নিজেদের জন্য।
– একে অন্যের ত্বকের সঙ্গে ত্বক লাগিয়ে উষ্ণতার আদান প্রদান হোক। ত্বকের স্পর্শ রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব ফেলে, হরমোন ক্ষরণেও ভূমিকা রাখে।
– দুজনে যখন আলাদা আলাদা কাজে মগ্ন তখন ক্ষণিকের জন্য হলে একে অন্যের দিকে তাকালে একটা সুন্দর অনুভূতি তৈরি হয়। এই দৃষ্টির আদান প্রদান অনেক কথাই বলে দেয়। সামান্য এই তাকানোই বলে একজন আরেকজনকে স্মরণ করছে, আবার তার কাছে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষা করছে।
– দূরত্বও অনেক সময় সম্পর্কে গাঢ় করে। কিছুদিন নাহয় শারীরিক সম্পর্কে ছেদ পড়ুক। তবে একে অন্যের সান্নিধ্যে যেন ছেদ না পড়ে।
– দুজনে মিলে সাঁতার কাটলে, খেলাধুলা করলে নিজেদের মতো করে সুন্দর সময় কাটানো যায়।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ