হাজীগঞ্জের মালিগাঁও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মা মেয়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত অবস্থা তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার দিন রাতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঘরের অভিভাবক মোস্তফা মিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন বিবরনে জানা যায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও খামারবাড়ির মৃত টুকু মিয়ার দুই ছেলে মোস্তফা মিয়া ও সিরাজ মিয়া জমির আইল কাটা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুধবার বিকালে সিরাজ মিয়া (৬০) ও ছেলে কাউছার মিয়া (৩৫) মোস্তফা মিয়ার বসত ঘরের সামনে আসে। মোস্তফা মিয়ার ঘরের ভিতর থেকে এক পর্যায়ে স্ত্রী ঝর্ণা বেগম ও মেয়ে তানিয়া আক্তারকে জোরপূর্বক টেনে হিছড়ে মাটিতে ফেলে দেশীয় বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে তাদের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য মোস্তফা মিয়া এগিয়ে আসলে তাকেও গুরুতর আঘাত করে। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় বাড়ির বাসিন্ধা নাহিম, হাবিবাসহ কয়েকজন মিলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বিষয়টি পুলিশ কেস লিখে থানায় অবহিত করলে এ এস আই মোজাম্মেল হাসপাতালে ছুটে আসে। বুধবার রাতে থানায় মোস্তফা মিয়া অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিপক্ষ সিরাজ মিয়া ও ছেলে কাউছারকে আসামী দেওয়া হয়।
বাড়ীর ফাতেমা বেগম ও হাবিবা বলেন, তাদের মধ্যে কি নিয়ে বিরোধ তা জানা নেই তবে মারামারি চলাকালীন আমরা মা মেয়েকে রক্ষা করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
অভিযোগকারী মোস্তফা মিয়া ও স্ত্রী ঝর্ণা ও মেয়ে তানিয়া বলেন, তারা বুধবার বিকালে হঠাৎকরে আমাদের বসতঘরে এসে বাঁশের টুকরা দিয়ে মারধর শুরু করে। আমাদের ডাকচিৎকারে বাড়ীর লোকজন এসে তাদের হাত থেকে রক্ষা না করলে হয়তো আমরা মারা যেতাম।
প্রতিপক্ষ সিরাজ মিয়াকে ঘরে না পেয়ে নাতনী তানজিনা আক্তার বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে আমার দুই নানার মধ্যে ঝড়ঘা সৃষ্টি হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার পুরাপুরি জানা নেই, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জেনে বিরোধ নিষ্পত্তির সমাধান করার চেষ্টা করবো।
প্রতিবেদকঃ জহিরুল ইসলাম জয়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১