অপারেশন ডেভিল হান্ট (Operation Devil Hunt) একটি বিশেষ অভিযান, যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে শুরু করা হয়। এর বাংলা অর্থ হলো- শয়তান শিকারের অভিযান” বা শয়তান দমন । এটি একটি সামরিক বা গোয়েন্দা অভিযান বোঝাতে পারে- যেখানে শয়তান বা দুষ্ট শক্তিকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো-দেশব্যাপি সন্ত্রাসবাদ দমন,আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে,গাজীপুরের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পটভূমি : ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, গাজীপুরের একটি এলাকায় ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় নেতৃত্ব দেয় ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : সন্ত্রাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও দমন করা। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
অভিযান পরিচালনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে : বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী,র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) , বাংলাদেশ সেনাবাহিনী , বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)।
এ বাহিনীগুলো একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করছে। তথ্য : বাংলা ইউকিপিডিয়া
চাঁদপুর টাইমস
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এজি