হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে চাঁদপুরজমিন টাওয়ারের ৩য় তলায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েবে আমির হযরত মাওলানা, হাফেজ আল্লাহমা মোঃ মনিরুল ইসলাম কাসেমী।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ এবং দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শেখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুরজমির পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ খোরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তার, অনামিকা আক্তার, সুবর্ণা আক্তার। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের নার্সারীর ছাত্র মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সভাপতি সহ অন্যান্যরা। সবশেষে অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ মনিরুল ইসলাম কাসেমী। তিনি বক্তব্যে বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু লোকেরা যে ধরনের কর্মকাণ্ড করেন তা ইসলামবিরোধী।অতএব এই দিবসে কোন ধরনের বেহায়াপনা করা যাবে না। আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেভাবে ইসলামের জন্য কাজ করে গেছেন সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হযরত হাফিজি হুজুর রহমতুল্লাহি আলাইহি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় যে রাজনীতি করে গেছেন তার মধ্যেই সবকিছু রয়েছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি ৮৬ বছর বয়সও ইসলামের দাওয়াত দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমরাও তার আদর্শকে ধরে রেখে ভবিষ্যৎ জিন্দেগি করলে দুনিয়ায় ও শান্তি এবং আখেরাতে ও শান্তি পাব। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনের মধ্যেই সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন। কোরআনকে যদি আমরা ফলো করি তাহলে আর আমাদের কোন ধরনের অসুবিধা হবে না। তাই কোরআনের আলোকে এবং নবী করিম সাঃ এর সুন্নত মত জিন্দেগি আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বাংলা ভাষাকে আমাদের গুরুত্ব সহকারে ব্যবহার করতে হবে। বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা। আমরা মুসলমান হিসেবে বাংলা ভাষাকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি অন্য দেশের মানুষ সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। আল্লাহ তাআলা ইসলামী আদর্শকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি তাই সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামী ভাবে যদি জিন্দেগি করি তাহলে জান্নাতে যাব। ইসলামী ভাষায় আমরা আমাদের ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিখব। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ শ্রেষ্ঠ নবী অতএব তার জীবনীকে আমরা আঁকড়িয়ে ধরার চেষ্টা করো।
তিনি বলেন, এখানকার ছাত্রছাত্রীরা এমনভাবে পড়াশুনা করবে যেন সবাই বলে তাদের মধ্যে আদর্শ এবং নৈতিকতা আছে রোকনুজ্জামান ভাই যেভাবে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
স্টাফ রিপোর্টার,১৪ এপ্রিল ২০২৫