হাজী মুসলিম হাওলাদারের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার ট্রাঙ্ক পট্টির এলাকার সুনামধন্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ মুসলিম হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওইন্না ইলাহির রাজিউন)। ৪ মে রোববার রাত এগারোটার সময় তিনি ঢাকা সিকেডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ৫ মে সোমবার বাদ যোহর চাঁদপুরের ঐতিহাসিক পুরান বাজার জামে মসজিদের সামনে মরহুমের জানাজা শেষে মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ঐতিহাসিক পুরান বাজার জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা কবির আহমেদ। সাংবাদিক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় জানাজা পূর্ব মুসল্লিদের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন মরহুমের একমাত্র জামাতা মোঃ মনির হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের মেজো ছেলে রফিকুল ইসলাম হালদার, শ্যালক আব্দুল কাদির মাল, হানিফ বন্দুকশী, বিএনপি নেতা ও চাঁদপুর চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিনুল ইসলাম সেলিম খান, সানরাইজ অয়েল মিলের মালিক রোটারিয়ান নাসির খান, বিএনপি নেতা আনিস বেপারী, আসলাম তালুকদারসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং সকলস্তরের ব্যবসায়ী বৃন্দ।
হাজী মোহাম্মদ মুসলিম হাওলাদারের বড় ছেলে হাজী মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত অসুখে অসুস্থ ছিলেন। সবশেষ তিনি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা সিকেডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন।আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে বাবার জান্নাত কামনা করে সকল মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য : হাজী মোহাম্মদ মুসলিম হাওলাদার চাঁদপুর শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারের একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বাজারের ট্রাঙ্ক পট্টি এলাকায় হাওলাদার পলিথিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন ধর্মভীরু, পরোপকারী এবং ভালো মনের মানুষ ছিলেন। পুরান বাজার এলাকায় অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি নীরবে নিভৃতে অর্থ সহযোগিতা করেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি পুরান বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম, ৫ মে ২০২৫