চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউপির তথ্য উদ্যোক্তা কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ‘তথ্যসেবার’ নামে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ‘আত্মসাতের’ অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান দুলাল মির্জার সাথে কোন প্রকার ‘যোগাযোগ না করে’ একক ক্ষমতা বলে ইউনিয়ন তথ্য উদ্যোক্তা মো. কামাল হোসেন তার ইচ্ছানুযায়ী ভিন্ন যায়গায় অফিস করছেন বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে পূর্বের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মিয়াজী ও বর্তমান পরিষদের সচিব আবুল বাশার তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) ইউপিতে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমান পরিষদ হাড়িয়াইন আড়ং বাজার অবস্থিত স্থানে চেয়ারম্যান ও পরিষদের সচিব অফিস কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ইউনিয়নের তথ্য উদ্যোক্তা এখানে অফিস না করে পূর্বের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মিয়াজীর কথায় বেলঘর এলাকাতে অফিস করছেন। ইউনিয়নের দূর দূরান্ত মানুষ এইক ধরণের তথ্য সেবা নিতে দুই যায়গায় যেতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে পূর্বের ন্যায় তথ্য উদ্যোক্তা কামাল হোসেন সাধারন মানুষকে কৌশলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নিচ্ছেন।
গনমাধ্যম কর্মীদের দেখে পরিষদে উপস্তিত কয়েকজন ভূক্তোভোগী তথ্য উদ্যোত্তা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
ইউনিয়নের পশ্চিম হাটিলা পাটওয়ারী বাড়ির সিরাজ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছ থেকে কামাল জন্ম নিবন্ধন বাবদ তিন হাজার টাকা নিয়েছে।’
হাটিলা গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে মুকবুল হোসেন বলেন, ‘পাসর্পোট কাগজপত্র ঠিক করতে যেখানে মাত্র ৬০ টাকা লাগে সেখানে আমার কাছ থেকে ১১শ টাকা নেয়। কিন্তু তার পরেও আমার কাজটা সম্পন্ন করতে না পারায় বিদেশ যেতে পারিনি।’
গংঘানগর বেপারী বাড়ীর সূর্য কুমার জন্ম নিবন্ধন বাবদ দুই হাজার টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
পরে ইউনিয়নে খোঁজ করে জানা যায় তথ্য উদ্যোক্তা কামাল গত ৫ বছরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এলাকায় জমি পর্যন্ত ক্রয় করেছেন।
বর্তমান চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর একদিনের জন্য সে আমার এখানে আসেনি। পূর্বের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের কথা মতে সে এখনো চলতেছে। প্রতিদিনিই তার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের কথা মানুষ আমার কাছে বলে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন তথ্য উদ্যোক্তা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি যে কোনো কাজ চেয়ারম্যান ও সচিবকে জানিয়ে করতাম।’
[author image=” https://chandpurtimes.com/wp-content/uploads/2015/11/joy.jpg” ] প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ [/author] : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৩০ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur