চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে প্রায় অধ্যশতাধিক রোগী ভর্তি। গত তিনদিনে ঠান্ডাজনিত এসব রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দিন রাত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় এখন হাসপাতালে যাদের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক রোগী। আসন সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আবাসিক চিকিৎসকরা। আর এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরাও সেবা নিতে গিয়ে কিছুটা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসা রোগীতে ঠাসা। ঠান্ডাজনিত কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী, শয্যা না পেয়ে অনেকেই ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় । এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন দুই থেকে আড়াইশো রোগী।
২১ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর শনিবার রাত পর্যন্ত তিন দিনে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় অর্ধ শতাধিক রোগী। এর মধ্যে কেউ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আবার নতুন করে ভর্তি হচ্ছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও প্যাট ব্যাথা রোগে ভর্তি হয়েছেন উপজেলার শমেসপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম, রাজারগাঁও’র রাকিব, লাউকোরার আবু নাছের, লোধপাড়ার মোকলেছুর রহমান, সেন্দ্রা রাশেদ, বেলঘর সোহাগ, মকিমাবাদ আরিফ, আড়ুলি সিদ্দিকুর রহমান ও লাউকোরা গ্রামের রুবেল হোসেন।
একই চিত্র মহিলা ওয়ার্ডের। পাতানিশ গ্রামের সুফিয়া বেগম তার ৩ বছরের শিশুকে নিয়ে ভর্তি হয়েছেন গত তিন পূর্বে। শিশুটি শ্বাসকষ্ট রোগী ভুগছেন। তবে আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে এখন জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বেশি। যাদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। তবে তাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী এ মুহূর্তে চলতে হবে। বিশেষ করে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে কোলে নিয়ে গরম কাপড়চোপড়ে। পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের শীত জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩