চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে অযোগ্য ব্যক্তিকে বসিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের হোঁচট খেতে হচ্ছে সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ের যে সুনাম ছিল তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহল এবং স্থানীয় এলাকাবাসী অতি জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ পূরণের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাছে।
জানা যায়, সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি স্বাধীনতার পূর্বে সেই ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক ফলাফল অর্জনে সুনাম বয়ে আনছে। দেখা যায় শিক্ষকদের অনুপ্রেরনায় অনেক শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ পেয়ে বিদ্যালয়ের গন্ডী পার করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির অভিভাবক শূন্য হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার ভরণ-পোষণের অভাবে অষ্টম বা নবম শ্রেণিও পার হতে পারে না।
অভিযোগ রয়েছে গত ২ বছর ধরে সহকারী প্রধান ও প্রধান শিক্ষক না থাকায় এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সময় না দেওয়ায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একক ক্ষমতাবলে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে ফরম ফি, বিদ্যালয়ের বেতন, বিভিন্ন উন্নয়নের নামে বেনামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অসাধু উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি শিক্ষার্থীদের গার্ডিয়ানের কাছ থেকে মিষ্টির বিনিময় রোল নম্বর প্রথম দিকে এনে দেয়।
সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন সব নানা অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়া যায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল আলম মিয়াজীর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাতানিশ গ্রামের অষ্টম শ্রেণির রোল নং ০১-এর বাবা বিদ্যালয়ে আসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে দুপুর বেলায় শিক্ষকদের খাওয়ানোর চাপে। এছাড়াও এ বছর এসএস সি পরীক্ষার ফরম ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারিভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া হবে। আমাকে সহকারী শিক্ষক থেকে ম্যানিজিং কমিটি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি একক ক্ষমতা বলে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই।
জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৭:৪০ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৬, সোমবার
এমআরআর