হাজীগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় চার হাজার মানুষ তিনমাস ধরে পানিবন্দি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি সীমান্তবর্তী এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষ গত ৩ মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থা পড়ে আছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সরকারি খাল দখলের কারনে মূলত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসী বার বার লিখিত অভিযোগ জানিয়ে আসলেও দুর্ভোগ কমছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড দোপাল্লা বাজার সংলগ্ন পূর্ব মাথায় পানি বন্ধী ২০ বাড়ীর প্রায় ৪ হাজার লোক।
বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী নারী পুরুষসহ শিশুদের চলাচল করতে হয় হাঁটু সমান পানি দিয়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কবরের পাশ দিয়ে পানিতে হাটতে গিয়ে যেন এক প্রকার ভয় নিয়ে চলাচল করতে হয়। মাঝেমধ্যে বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষ পানির গর্তে পড়ে পুরো শরীল ভিজে একাকার হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ মরলে কবর খুড়তে পারে না পানির কারনে। সব মিলে এখানকার মানুষ যেন বন্দী অবস্থায় বসবাস করে আসছে। পানিবন্দির কারন হিসাবে দেখাযায় মূলত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সরকারি হালট দখল করে বসত বাড়ী দোকান পাঠ গড়ে তোলার কারনে। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বাঁধা দিলেও প্রভাবশালীদের সাথে প্রতিবাদ করে উঠতে পারেনি।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, দখলকারীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধোপল্লা এলাকার আলেয়া বেগম, সেলিম মিয়া, জসিম, জাকির, সাদ্দাম হোসেন, রাসেল, তাজুল ইসলাম, হেন্জু মিয়া, নুরা মিয়া, জাকির, নজরুল, কালু ও ইব্রাহিম মিয়া।
এলাকার ভুক্তভোগী মহিন, পলাশ, রাজন কাজী, মোস্তফা, নবীর হোসেন, সেলিম, বিল্লাল শেখ, ফারুক তালুকদার, হাসান, শফিক তালুকদার বলেন, আমরা সরকারি খাল দখলের সময় বাধা দিয়েছি,কিন্তু কেউ শুনেনি। তারপরও ইতিপূর্বে আমরা ইউএনও ও এসিল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করলে লিখিত দরখাস্ত দেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এসিল্যান্ড অফিস থেকে নির্দেশনা দেয় ৫ দিনের মধ্যে দখলদার যেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে। মানুষ মারা গেলে কলিমউদ্দিন শেখ বাড়ির কবরস্থানে কবর খোড়ার ব্যবস্থা নেই।
তারা আরো বলেন, সরকারি হালট দখল করে তারা গত ৭/৮ বছর ধরে বসত বাড়ি দোকান পাঠ করে রেখেছে। যেন একটা হরিলুট অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে পানিবন্দি অবস্থা পড়ে থাকে এখানকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার সরেজমিনে এতে এখানকার দখলদারদের পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছে। আজ প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কেউ শুনেনি। বিষয়টি আবার প্রশাসনকে অবহিত করা দরকার, তা না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে না।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়/ ১৭ আগস্ট ২০২৫