চাঁদপুর

ঈদকে ঘিরে যানজটমুক্ত দেখতে চায় শহরবাসী

রোজা ১৫ গড়িয়ে আজ ১৬ রোজা হলে ঈদের বাকি ১৩ থেকে ১৪ দিন। আর এই সময়টাতে জমে উঠবে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের বাজার থাকবে মহাব্যস্ত।

প্রতিদিন ক্রেতাদের ভীড়ে শহরের প্রধান প্রধান মার্কেটগুলো পড়বে কেনাকাটার ধুম। আর তখনই যানজটে শহরবাসীকে নাকাল করে ফেলে। শহরের কালিবাড়ি এলাকায় অটোবাইক-সিএনজির অবৈধ পার্কিংয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের বুক চিরে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে লাগে যাচ্ছে অনেক সময়।

ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করবে। পাশাপাশি শহরের বাইরের যানবাহনও সড়কের উপর দিয়েই চলাচল করছে। যত্রতত্র সিএনজি-অটোরিক্সার কারনে শহরে যানজটের প্রধান কারন হিসেব উল্ল্যেখ করেছেন শহরবাসী। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত এখন শহরের বুকে যানজট লেগে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যপক ভূমিকা নিলেও কোন কাজেই আসছে না যানজট নিরসন পরিকল্পনা। চাঁদপুর শহরে মাত্র দু’টি প্রধান সড়ক। একটি চিত্রলেখা ও সরকারি কলেজ রোড, আরেকটি ছয়াবানি-মিশন রোড। এ দু’টি প্রধান সড়ক দিয়ে শহর ও শহর এবং শহরের বাইরের লোকজন প্রবেশ করে। শহরে এত বেশি যান চলাচল করে, দেখে মনে হবে পাখির ঝাঁক চষে বেড়াচ্ছে।

অন্যদিকে শহরে ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে লেগে থাকে যানজট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময় নির্ধারণ করে দিলেও কোন ভারি যানবাহন তোয়াক্কা করছে না নিয়মে। এতে করে শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে ছায়াবানি মোড় পর্যন্ত সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট।

এছাড়া ভ্যান, রিকশা মোটরসাইকেল, সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের কারণে শহরের হাকিমপ্লাজা, জোড় পুকুর পাড় মীর শপিং কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে রাস্তা পারাপার কিংবা রাস্তা চলাচলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। দুর্ভোগ তো আছেই।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ৫: ৪০ পিএম, ১২ জুন ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Share