চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের গর্তগুলো বৃষ্টির পানি জমে ছোটাকৃতির পুকুরে পরিণত হয়েছে। পানিতে টইটম্বুর হওয়ায় দূর থেকে বুঝা যাচ্ছে না গর্তে পরিমাণ কতো?
এমন অবস্থায যান চলাচলে চমর দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালে সংস্কারের পর দীর্ঘ এক যুগ পর ২০১৪ সালে সড়কটি সংস্কার হয়।
সে সময়ে রানা বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করায় বছর যেতে না যেতে সড়কটির কিছু কিছু স্থানে ছোট ছোট গর্ত দেখা দেয়। হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ২০ কি.মি সড়কের চাঁদপুর অংশের ১০ কি.মি.অংশের ৪০ ভাগ স্থানে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটির একাধিক অংশে ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির পূর্ব পাশে পিচ ঢালাই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। একাধিক স্থানে ছোটাকৃতির গর্তে বর্ষার পানি জমতে জমতে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
মাঝে মধ্যে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের লোকজন গর্তগুলোতে সড়কে সমান করে আলাদা কংক্রিট দিলেও তা’ কিছু দিন পর আরো বড় ধরনের গর্তে পরিণত হয়ে যায়।
বর্তমানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে প্রতিনিহিত বৃষ্টির পানি জমে সড়কের গর্তগুলো একাকার হয়ে গেছে। সড়কে চলাচলরত ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন গর্তে নিমর্জিত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নাম মাত্র সংস্কার হলেও তা’ক ’দিন পর যেই সেই বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকে।
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অংশের ১০ কি.মি.-হাজীগঞ্জ বাজার থেকে ফরিদগঞ্জ অংশের ঘনিয়া ব্রিজ, জিয়ানগর এলাকা পার হয়ে সেলিম ব্রিক ফিল্ড থেকে শুরু করে ইঞ্জি.মমিনুল হক ব্রিক ফিল্ড পর্যন্ত, বেলচোঁ বাজার স্থানে,মনতলা বাজার থেকে চালিয়াপাড়া পর্যন্ত ও সবচেয়ে খারাপ অংশ হচ্ছে মানুরী ব্রিক ফিল্ড থেকে ফকির বাজার পর্যন্ত ।
এসব স্থানের অংশ বিশেষ গর্ত হয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী যান চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘সড়কটি বেশিদিন হয়নি সংস্কার হয়েছে । অথচ বর্তমানে এমন অবস্থা যে পথে পথে গর্ত হয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়াটা দুস্কর হয়ে পড়েছে। কনস্ট্রাকশনের কাজের ক্রটির কারণে এমন দশা সৃষ্টি হয়েছে। বলেন।
সড়কটিতে সংস্কার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় কথা হয় হাজীগঞ্জ সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো.শাহআলমের সাথে।
এ সময় তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সড়কটি এমন পরিণতির জন্যে দায়ী বালি ও ব্রিক ফিল্ড ব্যবসায়ীরা। তাদের ট্রাকগুলো লোড অবস্থায় চলাচলের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
তবে কাজের কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur