হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কে স্পিড ব্রেকারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ফরিদগঞ্জ অংশের মনতলা বাজারে স্পিড ব্রেকারের নিমার্নের দাবিতে শিক্ষার্থী ও জনতা প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অবরোধ করে রাখে। ১৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা স্পিড ব্রেকারের দাবিতে সড়কে অবস্থান কর্মসৃচি পালন করে। চাঁদপুর জেলা প্রসাসকের নির্দেশনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া ঘটনাস্থলে এসে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যায়।
এদিকে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের দুই পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ যানযটে গাড়ী পারাপারে আরো সময় লেগে যায়।

হাজীগঞ্জ থেকে রামগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়কের পার্শ্বে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কটি অতিক্রম করে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের উপর স্পিড ব্রেকার নিমার্নের দাবী জানান।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের হাতের লেখা নানা রং বেংরঙ্গের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্কুলের প্রধান ফটকের সম্মুখে সড়েকের উপর অবস্থান করে তাদের দাবির কথা জানান।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের সামনে কোন স্পিড বেকার বা গতি প্রতিরোধক সাইনবোর্ড নির্মাণ বা স্থাপন করায় ইতোপূর্বে এই বিদ্যালয়ের সামনে ঝুকিপূর্ণ এই সড়কটির উপর একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়বাসিন্দারা নিহত ও আহত হয়েছেন। বিষয়টি লিখিত ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন প্রদক্ষেপনেয়া হয়নি।

এ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তা আটকে দিলে রাস্তার দু’পাশে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। তাদের দাবি ছিল, যে পর্যন্ত স্পিড বেকার বা গতি প্রতিরোধক সাইনবোর্ড নির্মাণ বা স্থাপন না করা হবে, সেই পর্যন্ত তারা এ কর্মসৃচি চালিয়ে যাবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকাগনও রাস্তার উপর স্পিড ব্রেকার নিমার্নের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমি সড়ক ও জনপদ বিভাগে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা দেখিনি।

আন্দোলনকারী শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদের ইমাম গত দুই দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আমরা এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সড়কে স্পিড ব্রেকারের দাবিতে নামতে বাধ্য হয়েছি।

স্থানীয় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার ও শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ও জনতার যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন জানিয়ে যেন কোন আপত্তিকর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য পুরো সময় তাদের পাশে ছিলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলন কারীদের সাথে সমাধানের লক্ষ্যে কথা বলে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

Share