হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের এক মেয়ের ২ স্বামী নিয়ে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় স্বামীকে গুম করার অভিযোগও উঠেছে
জানাযায়, এমন ঘটনা ঘটেছে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া জ্বীন কবিরাজের বাড়ীতে। মেয়ে জ্বীন কবিরাজের তৃতীয় মেয়ে আঁখি আকতার প্রিয়া। সে স্থানীয় রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী প্রিয়া’র বয়স প্রায় ১৪ বছর ৯ মাস।
জানাযায়, প্রিয়াকে প্রথমে পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সাতবাড়িয়া সানু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আরাফাতের সাথে গত ৯ সেপ্টেম্বর/২০১৫ তারিখে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে স্থানীয় কতিপয় বখাটের সহযোগিতায় পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় কোনপ্রকার কাবিন করা হয়নি।
এর পূর্বে প্রিয়া মকিমাবাদ ৫নং ওয়ার্ডের প্রবাসী আক্কাছ আলীর ছেলে সবুজের সাথে দীর্ঘ দিন মন দেয়া-নেয়া ছিল। প্রিয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে সবুজের সাথে বিয়ে দেয়নি প্রিয়া’র পরিবার। সবুজের পরিবারকে বলা হয়েছিল প্রিয়া প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সবুজের সাথে তার বিবাহ প্রদান করা হবে।
কিন্তু সবুজের পরিবারকে ফাঁকি দিয়ে প্রিয়াকে অর্থের লোভে পড়ে ওই এলাকার কিছু বখাটের সহযোগিতায় সাতবাড়িয়ার সানুর ছেলের সাথে বিবাহ দেয়া হয়।
বিবাহের ১০ দিন পরে ১৯ সেপ্টম্বর প্রিয়া হঠাৎ করে তার সাবেক প্রেমিককে ফোন করে বেলচোঁ বাজার যেতে বলে। সেখান থেকে প্রিয়া ও সবুজ লক্ষীপুর আদালতে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এদিকে প্রিয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সানুর ছেলের সাথে বিয়ের কোন প্রমাণপত্র না থাকায় বিপাকে পড়ে সানুর পরিবার।
অপরদিকে এফিডেভিটের মাধ্যমে সবুজ প্রিয়াকে বিয়ে করে তারা কাবিনও রেজিস্ট্রেশন করা। এখন আসলেই কি সানুর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত প্রিয়াকে বিয়ে করেছে ? নাকি ওই বখাটেরা বিয়ের সাজানো নাটক করছে। তাই দেখার বিষয়। আসলে প্রিয়া কার বৈধ স্ত্রী এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
আপডেট: ০১:৪৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৫, রোববারচাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫