চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ছাত্রনেতাকে জোরপূর্বক আটকিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধের পর কাবিননামার টাকার জন্য স্ত্রী ও তার পরিবার নানা নাটকিয়তা সাজিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার প্রথম সূত্রে জানা যায়, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের উদিয়মান ছাত্রনেতা নোমান হোসেন। চলতি বছরের আগস্ট মাসে নোমান হোসেনকে হোটনী গ্রামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করে। বিয়ের কাবিন নির্ধারণ হয় ৪ লাখ টাকা।
বিয়ের পর পরই নোমানের বাবা আশেক আলী পুত্রবধূ হিসেবে সুলতানাকে পাঁচৈই জমাদ্দার বাড়ির নিজ ঘরে তুলে নেন। সুলতানা একই ইউনিয়নের হোটনি বেপারি বাড়ির আবুল হোসেনের ৩য় কন্যা।
নোমান বলেন, বিয়ের পূর্বে আমার স্ত্রী’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন। একদিন স্ত্রী সুলতানার কাছে তার বড় বোন ফোনে নানা বিষয় প্ররোচনা দিলে সে ঘরের কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিষ খাওয়ার চেষ্টা করে।
এ থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ঘটনমর্মে সুলতানা নোমানকে মারধর করে, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কাবিনের টাকা দিয়ে দিতে বলে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) নোমান জীবিকার তাগিদে কুমিল্লায় থাকাবস্থায় স্ত্রী সুলতানা শরীরের কিছু অংশ ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এ সময় আমার পরিবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে তাকে নিয়ে গেলে সেখানে নোমানের শুশ্বর বাড়ির লোকজন পুলিশ নিয়ে হাজির হয়।
বিষয়টি স্থানীয় শালিসদের উপস্থিতিতে সোমবার (২৯ অক্টোবর) থানায় বৈঠকের কথা থাকলেও তারা বসেনি। তাদের একটাই কথা কাবিনের টাকা দিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদ করে নিতে।’
নোমানের ইচ্ছা, অনাকাংক্ষিত ঘটনার মধ্যে সুলতানার সাথে তার বিয়ে হলেও, দু’জনের ভালোবাসার স্থায়ীত্ব হিসেবে সংসার করতে আগ্রহী, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চান না।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জসিমউদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটির পরিবারের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি স্থানীয় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে মেয়ে ও তার শুশুর-শাশুড়ি রয়েছে। পরে সেখান থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে মেয়ের বাবা মায়ের কাছে দেই এবং বিষয়টি বসার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ছেলের পরিবার আসলেও মেয়েটির পরিবার আসেনি। তবে মেয়েটিকে যে ভাবে নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে এমন কোন বাস্তবতা দেখিনি।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ অক্টোবর, ২০১৮