প্রতীকী ছবি
প্রতিবছরের ন্যায় এবারো চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ, প্রাচীন ও ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে দু’টো জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এর প্রথমটি হবে সকাল ৮ টায় এবং দ্বিতীয়টি হবে সকাল ১০ টায় ।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় জামে মসজিদ ব্যবস্থাপনা সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তা’ছাড়াও বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা,আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ ও প্রায় ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকবে । মসজিদ এরিয়া ব্যতীত হাজীগঞ্জ বাজার রোডে বিশেষ ওজুর ব্যবস্থা রাখা হবে বরে তিনি জানান । আলীগঞ্জ পর্যন্ত বিশেষ মাইক থাকবে । প্রথম জামাতে নামাজ পড়াবেন মুফতি আবদুর রউফ।
চাঁদপুরের ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ সম্পর্কে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির মোতোয়াল্লি অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটোয়ারী চাঁদপুর টাইমসকে মঙ্গলবার (২১ আগস্ট ) জানান, মুসলিম উম্মার জন্যে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো গতানুগতিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
এরইমধ্যে সংশিষ্ট সকলের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে । মুসল্লীদের সুবিধার্থে ও ক্রমাগত সংখ্যা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন ব্যবস্থা ও প্রাসঙ্গিক সকল সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নামাজের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত রাখার বিষয়ে এরইমধ্যে তিনি পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ হাজীগঞ্জকে এবং পৌর মেয়রকে বাজার পরিস্কার পরিছন্নতার ক্ষেত্রে আদেশ দানে সংশ্লিষ্ঠদের সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ এ মসজিদে সকাল থেকেই চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা,
ব্যবসায়ী,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক,ছাত্রসহ জেলার দুরদূরান্ত থেকে সকল পেশার মুসল্লিগণ নামাজ আদায়ে ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে সমবেত হন।’
‘ মুসল্লিদের সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করতে সড়কে প্রয়োজনীয় কাপড়ের দস্তর বিছানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তরিক রয়েছেন।’
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আসন্ন ঈদুল ফেতরের দু’টো জামাত অনুষ্ঠিত হবে । প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকার ৮ টায় ও দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ১০ টায়।
প্রসঙ্গত, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা,পৌর মেয়র,চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ, নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, প্রচারণায় মাইকিং, মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন দোকান পাটের বারান্দায় নামাজ পড়ার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমাণ ওযুর ব্যবস্থা,মসজিদ আঙিনায় সামিয়ানা টানানো, মেডিক্যাল টীম, প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবকদল গঠন, হাজীগঞ্জ বাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমিল্লা মহাসড়কে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন সাময়িক বন্ধ রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত ও মোকাব্বের নিয়োগ ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া হয় ।
নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এরইমধ্যে রয়েছে বাজারে অস্থায়ী অজুর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাইক, অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ। ’
এদিকে চাঁদপুর শহর ও আশ-পাশের ঈদগাহগুলো ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে। চাঁদপুরের বড় বড় ঈদগাহ জামায়াতগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, চাঁদপুরের বাবুরহাট স্কুল ও কলেজ, পৌর ঈদগাহ মাঠ, পুলিশ লাইন ময়দান, আউটার স্টেডিয়াম ময়দান, পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জেলা কারাগার মসজিদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠ, বেগম মসজিদ মাঠ, চিশতিয়া জামে মসজিদ মাঠ, গুণরাজদী আহমাদিয়া মাঠ, পুরাণবাজার হাফেজিয়া মাঠ, সফরমালী হাই স্কুল মাঠ, রালদিয়া মাদ্রাসা মাঠ, দাসাদী মাদ্রাসা ও মসজিদ মাঠ ও খেরুদিয়া মাদ্রাসা মাঠ ।
প্রতিবেদক-আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গরবার
ডিএইচ
