চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বাকিলা শাখার আশার এক কর্মকর্তা আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক হয়েছে বলে জানাযায় ।
গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া ইউসুফ আলী খাঁ বাড়ীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী’র সাথে বাকিলা বাজারের আশা শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (৩৫) কে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে জনতা।
পরে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ এই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্বামী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রবাসে থাকা অবস্থায় বাকিলা বাজার আশা শাখা থেকে আমার স্ত্রী কিছু ঋন নেয়। তখন থেকে কর্মকর্তা মিজান আমার স্ত্রী’র পেছনে লাগে। শনিবার রাত ৮ টার দিকে আমার দুই সন্তানকে ঘরের বাহিরে দেখে জিজ্ঞাসা করে জানার পর বাড়ির লোকজন নিয়ে ঘরের দরজা খুলে তাকে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে।’
এদিকে আশার এ কর্মকর্তাকে জনতা আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে মারধর করলে তার ডান হাত ও মাথায় রক্তাক্ত যখম হয়। এ অবস্থায় তাকে বাকিলা বাজারের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীকে বিষয়টি জানালে তিনি হাজীগঞ্জ থানায় খবর দেন। রাত ১০ টায় হাজীগঞ্জ থানার এস আই বলাই দেবনাথ বাকিলা বাজার থেকে আশার কর্মকর্তা মিজান, ইসমাইল ও তার স্ত্রী’কে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রেহের পর যখমকৃত এ কর্মকর্তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আশার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মতলব উত্তর উপজেলার একলাসপুর গ্রামের সেন্টু মোল্লার ছেলে। সে বাকিলা শাখা থাকা অবস্থায় আশার বিভিন্ন ঋনগৃহীতা মহিলাদের দূর্ভোলতার সুযোগ নিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপে লিপ্ত থাকার একাদিক অভিযোগ রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলাই দেবনাথ জানান, যখম হওয়া আশার এ কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে তথ্যাদি নিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইসমাইলের স্ত্রীকে চাঁদপুর সদর উপজেলার হোসেনপুর বাবার বাড়িতে প্রেরণ করা হয়।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ৩০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ