হাজীগঞ্জের বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারের তেমন কোন দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। সর্বশেষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৮-০৯ বর্ষে স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের হাত ধরে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবনের দেখা পায় প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন সময়ে মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রীক উন্নয়ন বেশী হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
জানাযায়, বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অনেকেই। তার মধ্যে অন্যতম ধারাবাহিক উন্নয়ন হয়েছে সিকোরেক্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, বলিয়া সাহেব বাড়ির মরহুম এটিএমএ কুদ্দুস ও তার মৃত্যুর পর বর্তমান সভাপতি ছেলে বিশিষ্ট শিল্পপতি ফারহান কুদ্দুস।
সরেজমিনে দেখা যায়, বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ফারহান কুদ্দুস ও বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য আওলাদ হোসেন নবীরের পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক উন্নয়নের ছোয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হচ্ছে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস, বিজ্ঞান ভবন, আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ , ওয়ার্ক ওয়ে, ভাউন্ডারি এরিয়া নির্মাণ। তাছাড়া এলাকায় গণ কবরের জন্য ৪৩ শতাংশ , বলিয়া উচ্চ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সাড়ে ৩১ শতাংশ জমি দান করা হয়। প্রতিবছর ৩০/৪০ জন গরীব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই কাগজসহ সম্পন্ন ফ্রীতে পড়াশোনার সুযোগ চালিয়ে আসছেন বলিয়া সাহেব বাড়ির এ দুই পরিবার।
বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য কবির হোসেন মুন্সী বলেন, আমরা এ ধরনের ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানে দেখতে চাই যেন সব সময় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে।
বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য আওলাদ হোসেন নবীন বলেন, আমি দাতা সদস্য হিসাবে আমার ও সভাপতির পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় গণ কবরের জন্য ৪৩ শতাংশ , স্কুলের জন্য সাড়ে ৩১ শতাংশ জমি দান করা হয়। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের হাত দিয়ে হয়ে আসছে। বর্তমানে একটি মহল গায়ে জ্বালা লেগে প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য নষ্ট করতে ম্যানেজিং কমিটিতে প্রবেশ করতে চায়। তাদের এ অপচেষ্টা অভিভাবকরা সফল হতে দিবে না।
স্থানীয় অভিভাবক জায়েদ হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে আক্ষেপ কানাডার নাগরিক প্রবাসী হাছান ইমাম। তিনি ১০ হাজার টাকা করে তার মনোনীত ৫ জন সদস্যের খরচ চালিয়ে দল ভারি করছেন। তার এ হীনমন্যতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লুটে পরিনত হতে পারে।
বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে বর্তমান সভাপতি ও দাতা সদস্যের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের ভূমি জটিলতা নিরসনে ৩১ শতাংশ ভূমি পেয়েছি। তাছাড়া একাডেমিক উন্নয়ন সরকারি বরাদ্দের বাহিরে তাদের অবদান বেশী। তার পরেও গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুই বছর পর পর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হচ্ছে। যেই আসুক প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক উন্নয়নে ব্যক্তিকেন্দ্রীক ছোয়া যেন লেগে থাকে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur