হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে অবরুদ্ধ শহরবাসী

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। চলতি বছর ২৭ মে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৫৭ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল।যা ছিল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আর এতে করে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার অলিগলিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তাতে পথচারীসহ স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে, যেন দেখার কেউ নেই!

হঠাৎ করে এ অবিরাম বৃষ্টিপাতে হাজীগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে । নিচ তলার বাড়িঘরে পানি ঢুকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে অনেক শহরবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিপাতে শনিবার সকাল থেকেই শহরে প্রায় যানবাহন শূন্য। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ হাঁটু পানি ডিঙিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। কর্মের সন্ধানে তারা বের হতে পারছে না।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বড় মসজিদ মাঠ, হাজীগঞ্জ বাজারের দুই পাশ, আবাসিক এলাকা, মডেল কলেজ মাঠ ও তার চারপাশে পানি থই থই করছে। বাজারের ৫নং ওয়ার্ড ট্রাক রোড হয়ে মন্দির এলাকা, ৪নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ীর রোড হয়ে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পানি নিষ্কাশনের জটিলতা দেখা যায়। এভাবে পৌরসভার টোরাগড় এলাকার হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে চাঁদপুর কুমিল্লা সড়কের উপর পর্যন্ত পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এভাবে পুরো পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কোমরসমান পানি।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ইতিপূর্বেও এমন বৃষ্টি হলে প্রায় ৭/৮ দিন জলবদ্ধতার মাঝে চলতে হয়। এখন আবার শুক্রবার ও শনিবারের অভিরাম বৃষ্টিপাতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভা থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক তাফস শীল বলেন, জলাবদ্ধতা কি কারনে হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখবো তবে অতিবৃষ্টির কারণে যদি কোন বাসিন্দা কাজকর্মে ফেরার অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৫ অক্টোবর ২০২৪

Share