উপজেলা সংবাদ

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে মাদক আছে বিদ্যুৎ নেই

মেহেদী হাছান | আপডেট: ১০:০২ অপরাহ্ণ, ১৬ আগস্ট ২০১৫, রোববার

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে মাদক আছে বিদ্যুৎ নাই, তা বলার অপেক্ষা থাকলো না। ১০নং ওয়ার্ডে ভিাইপি স্টাইলে চলতে মাদক বিক্রি। অথচ ৩০ পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ নেই। বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক।

হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফি উল্যাহ পাটওয়ারী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভোটের সময় এলে জনপ্রতিনিধিদের চেহারা দেখা যায়। পরে আর দেখা যায় না। হাজীগঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল মান্নান খান দুই বারের মেয়াদ প্রায় শেষ। যদি বিদ্যুৎ দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। তবুও ভোট পেতে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন।

এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন নির্বাচনী ওয়ার্কে এসে জনগনের হতাশার কথা শুনে বলেছেন নির্বাচনে জয়ী হয়ে চেয়ারে বসলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে। সেই দিন আসতে আর কত বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে পৌরবাসীকে।

অনুসন্ধানে আরো তথ্য পাওয়া গেছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সকল ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট পাকা করনের কাজ চলছে। কিন্তু ১০নং ওয়ার্ড আমিন মিয়া ফকির বাড়ী (পাটওয়ারী বাড়ী) থেকে নাটেহরা রাস্তার সংযোগ সড়কটি অবেহলার জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে।

শত শত পথচারী স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বহু দূর ঘুরে অন্য গ্রাম দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। সামান্য ৫০০ গজ সড়কটি পাকা করা দূরে থাক বিগত কয়েক বছর যাবৎ এক কোদাল মাটিও পড়েনি। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম বেশি মাদক বিক্রি হচ্ছে কিন্তু ১০নং ওয়ার্ডে আগের তুলনায় মাদক সেবন ও বিক্রি বেড়েই চলছে। মেয়রের এলাকা বলে কথা। প্রশাসনের সংখ্যা বোধ করেন। গ্রামের উঠতি বয়সের তরুনরাই এ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

ভিআইপি হোন্ডা যোগে কেউ ব্যবসা চালাচ্ছে। আবার অনেকেই এক হাত থেকে অন্য হাত বদল করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। শুধু তাই নয় চোরাই পথে আসার তৈলের ব্যবসাও চলছে জমজমাট।

স্থানীয়রা জানান, এসব ব্যবসা করতে লাইসেন্সে প্রয়োজন হয় না। কয়েক দিন করলেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

Share