চাঁদপুর জেলা ও জেলার বাহিরে উপজেলার মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সব চেয়ে বেশী আলোচনায় থাকে যে উপজেলা তা হচ্ছে হাজীগঞ্জ। তার মধ্যে আবার যদি বিভিন্ন আন্দলন সংগ্রামের কথা উঠে আসে তা হাজীগঞ্জ বাজার তথা পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ওয়ার্ডের নাম।
আসন্ন হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে পদ-প্রত্যাশী নেতাদের প্রচার-প্রচারনা গত কয়েক মাস ধরে তুঙ্গে রয়েছে। ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ডসহ নানান ভাবে জানান দিতে প্রদ-প্রত্যাশী নেতারা প্রচার- প্রচারনা ছালিয়ে আসছে।
জানা যায়, ২০১২ সালে পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পর আর কোন কাউন্সিল না হওয়ায় আসন্ন সম্মেলনে পুরাতন নতুন মিলে এক এক ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা যায়। এসব প্রার্থীরা হাজীগঞ্জ বাজার, পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কে বিলবোর্ড লাগিয়ে ইতিমধ্যে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ বাজারের তথা পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড হচ্ছে ৬নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে যেসব প্রার্থীর নাম শুনা যায়, তাদের মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উক্ত ওয়ার্ডের বর্তমান সভাপতি জাকির হোসেন মোহন।
জাতীয় ও পৌরসভার দলীয় নির্বাচনে ওয়ার্ডে প্রধান দায়িত্ব থেকে সফল ভাবে নেতৃত্বে অবদান রাখায় তার বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর নাম শুনা যায়নি। উক্ত ওয়ার্ডের বর্তমান সাধারন সম্পাদক মো. শাহআলম এবারের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আবারো একই পদে প্রার্থী হচ্ছেন।
তিনি ছাত্র ও যুবলীগের নেতৃত্বের পর উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বেশ দক্ষতার সাথে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়। উক্ত ওয়ার্ডে সাধারন সম্পাদক পদে এবার প্রথম বারের মত প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা সজিব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সভাপতি অজয় সরকার।
হাজীগঞ্জ বাজারের দক্ষিনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ৫নং ওয়ার্ড এবার সাধারন সম্পাদক পদে একধিক প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে বর্তমান সাধারন সম্পাদক মোতালেব মজুমদার একই পদে মাঠে রয়েছেন। সাধারন সম্পাদক পদে গত কয়েক বছর ধরে হাজীগঞ্জ বাজার জুড়ে বিলবোর্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন সাবেক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য সুমন তফদার। একই পদে প্রার্থী রয়েছেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক রাজন চন্দ্র সাহা।
পৌর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে শহর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম গাউছ এর নাম শুনা গেলেও সেখানে হিসাব নিকাশ করে নেতা নির্বাচিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
পৌরসভা যে ওয়ার্ডে রয়েছেন সেই ৭নং ওয়ার্ডে এবার সভাপতি পদে তেমন আলোচনা না থাকলেও সাধারন সম্পাদক পদে মাঠে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। তার মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীন। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে ইতিমধ্যে বেশ পরিচিতি লাভ করেন এ নির্যাতিত নেতা। তার বিপরীতে রয়েছেন উক্ত ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ঈব্রাহীম মিয়া।
প্রশাসনিক স্থান হিসাবে পরিচিত ৯নং ওয়ার্ড সব সময়ে থাকে আলোচনায়। এবারও এ ওয়ার্ডে সভাপতি পদে লড়বেন বর্তমান সভাপতি মোস্তফা কামাল। সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমানে দায়িত্বরত কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার। ধারনা করা যায় এ দুই নেতার বাহিরে তেমন কোন শক্ত প্রার্থীর নাম না শুনা যাওয়ায় আসন্ন সম্মেলনে আবারো এ দুইজন স স অবস্থানে থাকবেন।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মেদ খসরু বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সকল ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা করে যাচ্ছি, আসাকরি চলতি মাসের মধ্যে সম্মেলনের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয় ,১৫ নভেম্বর ২০১৯