হাজীগঞ্জ নারী মেডিকেল অফিসারের শ্লীলতাহানী

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে উপ-সহকারী নারী মেডিকেল অফিসারকে শ্লীলতাহানী করেছে বখাটেরা। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ এপ্রিল রাত ৯টায়।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মহিলা উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (২৫) রাত ৯টার সময় হাসপাতালের সুরমা ‘গ’ ভবন থেকে কাকলী ‘২’ ভবনে যাওয়ার সময় কয়েকজন বখাটে তার পথরোধ করে তাকে ঝাঁপটিয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় তার চিৎকারে হাসপাতালে কর্মরত লোকজন ছুটে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

ভিকটিমের স্বামী হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার সুমন জানান, আমার স্ত্রী একভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার সময় বখাটেরা তার গতিপথরোধ করে। ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকাটি অন্ধকারচ্ছন্ন ছিল।

এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে গত ৩০ এপ্রিল হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১৮। মামলার আসামীরা হলো কংগ্রাইশ গ্রামের আটিয়া বাড়ীর রফিকুল ইসলামের ছেলে লিটন (২৩), দেলোয়ার হোসেন দেলার ছেলে মিলন (২০), রওশনের ছেলে মহসিন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার কামাল হারুন জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামীদেরকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহ রয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন রাতেই হাসপাতালে ইমার্জেন্সি রোগী আসে। সেখানে মহিলা ডাক্তারদের আবাসিক বাসা থেকে কল করে রাতের বেলায় হাসপাতালে আনতে হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা হুমকীর মূখে পড়েছে। বিশেষ করে মহিলা ডাক্তাররা আতঙ্কে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের মাঝখান দিয়ে কংগ্রাইশ যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তাটি আমরা কয়েকবার বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু বন্ধ করতে পারিনি। রাস্তাটি বন্ধ করতে না পারলে ডাক্তার ও নার্স সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। যে ঘটনা ঘটেছে হয়তবা সন্ধ্যা বেলায় হওয়ায় ভিকটিমটি রক্ষা পেয়েছে। গভীর রাতে ঘটলে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনাওতো ঘটতো পারতো।

তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও এসপি মহোদয় দেখছেন। তবে হাসপাতালের ভেতরদিয়ে রাস্তাটি বন্ধে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ৫:০০ এএম, ০৪ মে ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share