হাজীগঞ্জ উপজেলার নবগঠিত ১২ নং দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৫ বছর মেয়াদ অতিক্রমের পথে । এরই মধ্যে ২য় তফসিল ঘোষণা হয় গত ২৩ জানুয়ারী। আর এতেই যেন নড়েচড়ে বসেছেন এখানকার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। সব ঠিকঠাক থাকলে এবং ভোটের পরিবেশ ফিরে পেলে মাঠে থাকবেন প্রায় একাধিক প্রার্থী।
আসন্ন নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশগ্রহণ করছেন না, যে কারণে বিএনপি’র প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যায়। এরই মধ্যে মাঠে রয়েছেন ১২ নং দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পূর্বের প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল।
এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দৌড়ে মাঠে রয়েছেন। কেউ আবার দল থেকে নৌকার মনোনয়ন না পেলেও শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে জানাযায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সহ-সভাপতি এবং গতবারের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব খোকন বিএসসি নানা সমাবেশে নেতাকর্মীদের বাহিরেও জনগণের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে আসছেন। এদিকে কোন কারনে আব্দুর রব খোকন বিএসসি নির্বাচন না করলে তার ছেলে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ বিল্লাল হোসেন রিপন দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে জানাযায়। তাছাড়া ইছাপুরা এলাকার আরেক কৃতিসন্তান আবু তাহের প্রধানীয়া ইউনিয়নের মানুষের সাথে গণসংযোগ অব্যাহত রেখে আসছেন। আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী কামরান হোসেন সাগর নানান বিলবোর্ডের মাধ্যমে নিজেকে জানান দিয়ে আসছেন। তবে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নামও শোনা যাচ্ছে।
দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, আমি আইন আদালতের মাধ্যমে দৌড়াদৌড়ি করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শাহ কামালের সহযোগিতা দ্বাদশ ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পেরেছি। আর এতে করে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট, ব্রিজ কালভাট, স্কুল কলেজসহ একাধিক দৃষ্টিনন্দন কাজ হয়েছে। দল ও জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আবারো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
আবু তাহের প্রধানীয়া বলেন, আমার পাশে ভোটার ও কর্মী সমর্থক সবই ঠিক আছে। শেষ পর্যন্ত মানুষের এ ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমার ঘর বাড়িতে একাধিক বার হামলা হয়েছে, এ-তো ক্ষতিগ্রস্তের পরেও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে রয়েছি এবং ইতিমধ্যে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে এ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স নাই, স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক নাই। যদি কোন প্রার্থী এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করে তাইলে আমরা ওরকম প্রতিনিধিকেই আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩