Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ কংগাইশে কয়েকটি পরিবারের চলাচলের পথে বাধাঁ
পরিবারের

হাজীগঞ্জ কংগাইশে কয়েকটি পরিবারের চলাচলের পথে বাধাঁ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কংগাইশে কয়েকটি পরিবারের বিকল্প চলাচলের পথে বাধাঁ পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। যে কারনে ভুক্তভোগীরা পৌর মেয়রসহ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, কংগাইশ আটিয়া বাড়ীর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের হাফেজের ছোট ভাই মো. আ. করিম আটিয়ার ঘরসহ কয়েকটি বসতঘর গৃহবন্দি হয়ে আছে।

বাড়ীর আ. করিম আটিয়ার প্রথম ঘরের স্ত্রী রশিদা বেগমের নামে ৪২ শতাংশ ভূমি ও ২য় ঘরের স্ত্রী সামছুন্নাহারকে ১৮ শতাংশ ভূমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ঘর করে দেওয়ার পর চলাচলের জন্য পূর্ব পশ্চিমে ২ ফুট করে রাস্তা রাখা হয়। সেই পথ দিয়ে পাশ্ববর্তী মোল্লা বাড়ী, মিজি বাড়ী, বেপারী বাড়ি, পুরাতন আটিয়া বাড়ীর প্রায় শতাধিক লোক এ পথ ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু হঠাৎকরে আ. করিমের প্রথম ঘরের সন্তানরা ৩০ বছরের চলাচলের রাস্তার পথ বন্ধ করে দেয়। এতে বৃদ্ধ আ. করিম ও তার ২য় ঘরের স্ত্রী সন্তানেরাসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি পরিবার গৃহবন্দী হয়ে পড়ে।

আ.করিমের স্ত্রী শামছুন্নাহার বলেন, আমাদের পরিবারে বর্তমানে সদস্য ৯ জন। আমরা বাড়ীর কবরস্থানের পাশে এক কোণে পড়ে আছি। চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক কবরস্থানের উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ চাই।

স্কুল শিক্ষার্থী মারজান আক্তার ও আফসানা ও সিয়াম বলেন, স্কুলে যাওয়ার জন্য কোন পথ নেই। যে পথে যেতাম তা বেড়া দিয়ে রেখেছে।

পাশ্ববর্তী ঘরের বাসিন্ধা কামরুন্নাহার বলেন, আমরা পূর্বে থেকে এ পথ দিয়ে চলাচল করে আসতাম। কিন্তু হঠাৎকরে পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক বাড়ীর লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। আমরা বিষয়টির সমাধান চাই।

আ. করিম বলেন, ৩০ বছর ধরে কবরস্থানের পাশে এই বসতঘর গড়ে উঠেছে। ১৯৯৩ ও পরবর্তী ২০০৮ সালে সিদ্ধান্ত অমান্যকরে আমপর প্রথম ঘরের অবাধ্য সন্তানেরা আমাকেসহ পুরো পরিবারের চলাচলের পথে বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের ১নং সালিশদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদারের নির্দেশে উক্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কারনে বিকল্প পথ হিসাবে ঘরের দক্ষিন পাশে কবরস্থানে চলাচল করতে গিয়ে সেই পথটি দিয়েও দেওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। যে কারনে আমরা পুরোপুরি গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি।

এ বিষয়ে রশিদা গংদের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ আসেনি, তার পরেও জনগনের চলাচলের পথের কথা শুনে বিষয়টি নজরে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৭ জুলাই ২০২২