Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদের ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে
জামায়াত
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদের ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

রাত পোহলে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকিফ ও মোতওয়াল্লী আলহাজ মরহুম আহমদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) ওয়াকফ এ্যাস্টেট কর্তৃক পরিচালিত চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ, প্রাচীন ও ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদুল আযহার ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মসজিদের মোতওয়াল্লী ও সমাজ বিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদ মসজিদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে সভা শেষে ৬ জুন এ তথ্য জানান।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ঈদুল আযহার প্রথম জামায়ত সকাল সাড়ে ৬ টায় অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের ইমামতি করেন পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ। দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮ টায়। ইমামতি করেন মাও. হাফেজ আনাস এবং শেষ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০ টায়। ইমামতি করবেন হাফেজ মাও. এমদাদুল হক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে মসজিদ জুড়ে প্রত্যেকটি ঈদের জামায়াত খুবই সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। ছোট-বড়,ধনী-গরীব সকলে একত্রিত হয়ে ঈদের জামায়াতে নামাজা আদায় করেন। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় এবং কোলাকুলি করেন। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ব্যবস্থাপনা চমৎকার ও ঘুচানো। তাই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ দূর-দূরান্ত থেকে এসে ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করে থাকে। অতীতের প্রেক্ষাপটে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় প্রত্যেকটি জামায়াতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

ধর্মমন্ত্রণালয় ও ইফার সকল নিদের্শনা অনুসরণ করে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। প্রতিবারই সবদিক লক্ষ্য রেখে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এ মসজিদে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা,ব্যবসায়ী,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ছাত্রসহ জেলার দুরদূরান্ত থেকে সকল পেশার মুসল্লিগণ ঈদের নামাজ আদায়ে ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় জামে মসজিদে সমবেত হন। মুসল্লিদের সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করতে প্রয়োজনে সড়কে কাপড়ের দস্তর বিছানোর ব্যবস্থা করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তরিক রয়েছেন। তাছাড়াও বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা,আইন-শৃংখলা রক্ষায় হাজীগঞ্জ পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। মসজিদ এরিয়া ব্যতীত হাজীগঞ্জ বাজার রোডে বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে বিশেষ ওজুর ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা যায়। গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে: প্রশাসনিক কর্মকর্তা,পৌর মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ, নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ,মাইকিং,মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, মাদ্রাসার বারান্দায় নামাজ পড়ার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।

মোতওয়াল্লী ও সমাজ বিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন, ‘পর পর ৩টি জামাত আয়োজনে মসজিদ ব্যবস্থাপনার সব দিক গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় এনে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। লোডশেডিং এর বিষয়টি বিবেচনা করে মসজিদের ভেতর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সোল্ারের মাধ্যমে দু’শতাধিক সিলিং ও রি-মোভিং ফ্যান চালু থাকবে। ওযু ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও পরিস্কার-পরিচ্ছনতা বজায় রাখতে প্রায় শতাধিক কর্মচারীদের প্রতি রুটিন মাফিক দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরোও বলেন ,‘ হাজীগঞ্জের সর্ব পেশার মানুষ ও মুসল্লিগণ হাজীগঞ্জসহ বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে এসে ঈদুল ফিতরের পর পর অনুষ্ঠিত জামাতগুলোতে অংশগ্রহণ করায় মসজিদের গ্রাউন্ডফ্লোর,১ম তলা ও এর আঙ্গিনা সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। খুৎতবা শেষে মুসল্লিগণ অশ্রুসিক্ত নয়নে মোনাজাতে শরীক হয়ে মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট অতীতের পাপ মোচনসহ দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ ও শান্তি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ঠ সকলের প্রতি আহবান জানাই। ’

প্রতিবেদক: আবদুল গনি