বাঙালী নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও সে তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে তেমন বিস্তার দেখা যায়নি। ২০১১ সালে ব্যক্তির উদ্যাগে প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ একুশে গালর্স স্কুল উপজেলায় একমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে উঠলেও তেমন উন্নয়নের চোঁয়া পায়নি।
উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর পাচৈই গ্রামে অবহেলিত কয়েক গ্রামের পিছিয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীদের সুযোগের লক্ষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমূল আহসান মজুমদার গড়ে তোলেন একুশে গালর্স স্কুলটি। এতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানের একটি একাডেমিক ভবন ব্যক্তি উদ্যাগে প্রতিষ্ঠিত ছাড়া সরকারি ভাবে তেমন কোন উন্নয়নের চোঁয়া পায়নি।
এমনকি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ও গরিব শিক্ষার্থীদের বেতন ব্যক্তির উদ্যাগে এখন পর্যন্ত চলে আসছে। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবছর একুশে গালর্স জেএসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সফলতার পরিচয় দিয়ে আসছে।
শুক্রবার প্রতিষ্ঠানের মাঠে আশপাশের কয়েক গ্রামের লোকজনকে আমন্ত্রনের মধ্যে দিয়ে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে নারী শিক্ষার গুরুত্ববহ আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অবসর প্রাপ্ত সচিব নাজমূল আহসান মজুমদার। এ সময় একুশে গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাখোয়াত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান, দুলাল হোসেন, ডা. মাহবুবুর রহমান মজুমদার বক্তব্যে রাখেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯