হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। তবে এসব কেন্দ্রে উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার (চাকমো) দ্বারা জোড়াতালি দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। ফলে এসব কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাইরে জনসাধারণের চিকিৎসার জন্য তিনটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো- হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের টোরাগড় গ্রামে অবস্থিত একটি, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজারে অবস্থিত ও বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকায় অবস্থিত শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চাকমো, একজন ফার্মাসিষ্ট ও একজন অফিস সহায়কের পদ রয়েছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকমো ও একজন কম্পাউন্ডার, শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকমো, ফার্মাসিষ্ট ও অফিস সহায়ক এবং রামচন্দ্রপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধু চাকমো দায়িত্বে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২০১০ সালের ১ জুলাই কানিজ সুলতানা নামে একজন চিকিৎসক যোগদান করেন। এক সপ্তাহ চাকুরীর পর তিনি অদ্যাবধি বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পদত্যাগ না করায় তাঁর পদ শূণ্য ঘোষনা হয়নি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারি হাবিব উল্যাহ বলেন, ‘পদটি শূণ্য ঘোষনা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বহুবার তথ্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে হাজীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিছুর রহমানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। রামচন্দ্রপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ শূণ্য রয়েছে। আর পদ শূন্যের জটিলতায় শ্রীপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক পদায়ন করা যাচ্ছে না। তবে তিনটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকমো দ্বারা চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’

হাজীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন এখানে পরিপূর্ন চিকিৎসক নেই। পর্যাপ্ত ঔষধ পাওয়া যায় না। এলাকার সাধারণ মানুষ কেন্দ্রটি কাছে বলে সব সময় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এখানে আসেন। তারা সহসায় এখানে একজন পূর্ণ চিকিৎসক দেওয়ার দাবি জানান।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র পাঁচ জন মেডিকেল অফিসার কর্মরত আছেন। চিকিৎসক সংকটের কারণে ২৪ ঘন্টা জরুরী বিভাগ চালু রাখার পাশাপাশি সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসক দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছে।’

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়

Share