হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে আলোকিত এবং অনুকরণীয় হাজীগঞ্জ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ‘প্রতিভার খোঁজে’ লেখা জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ৮ নভেম্বর। এ সপ্তাহব্যাপি ফরম বিতরণ বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে ফোরামের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে জানা গেৃছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়াও যুগিয়েছে। কেননা বর্তমান কারিকুলামেরও একটি উদ্দীপনামূলক উদ্যোগ বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ মতামত দেন।
হাজীগঞ্জের স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় শ্রেণিভিত্তিক সৃজনশীল এ প্রতিভা বিকাশে লেখার জন্যে অংশগ্রহণ করতে স্ব-স্ব পরিচিতিমূলক ও বিষয়বস্তু নির্ধারণীপত্র বা নির্দেশিকা বিতরণকালে কোমলমতি অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে ফোরামের একজন কর্মকর্তা জানান। এ ব্যাপারে স্ব-স্ব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণের মধ্যে এ ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্বষণে এ লেখা আহবানের বিষয়টি প্রশংসিত হচ্ছে।
৩ অক্টোবর ২০২৩ হাজীগঞ্জ মডেল হসপিটালে হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে ‘ প্রতিভার খোঁজে লেখা আহ্বান’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে এ অরাজনৈতিক সামাজিক ও সংস্কৃতিক বেসরকারি সংস্থাটি।
২৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার ফরম বা নির্দেশিকা বিতরণ করা হয়েছে বলে ফোরামের এক তথ্যে জানা গেছে।এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয় পত্র-পত্রিকায়্।নতুন ও আগামি প্রজন্মের নিকট হাজীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ‘হাজীগঞ্জ ফোরাম’।
হাজীগঞ্জ ফোরাম শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন। একই সাথে যারা এ কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং করবেন তাঁদের নাম প্রকাশিতব্য বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে: প্রবন্ধ,কবিতা বা ছড়া,থিম সং,লোকগীতি,গল্প,নাটক এবং চিত্রাঙ্কন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ‘ক,খ,গ,ঘ,ঙ’এ পাঁচটি বিভাগে পুরষ্কৃত করা হবে। ৮ নভেম্বরের মধ্যে লেখা ও চিত্রাঙ্কন জমা দিতে হবে। ‘ক’(ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ও সমমান),‘খ’ (নবম ও দশম ও সমমান) ও ‘গ’ (একাদশ,দ্বাদশ ও সমমান) বিভাগের প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে, কবিতা, ছড়া ও চিত্রাঙ্কন। প্রবন্ধ কমপক্ষে ১২শ শব্দ হতে হবে। ‘ঘ’ বিভাগ উচ্চ শিক্ষা (ডিগ্রি, অর্নাস, মাস্টার্স ও সমমান) বিভাগে কবিতা ছড়া, চিত্রাঙ্কন ও প্রবন্ধ। প্রবন্ধ কমপক্ষে ১৫শ শব্দ হতে হবে, ‘ঙ’ উন্মুক্ত (শিক্ষার্থী নয় এমন সকলের জন্য প্রযোজ্য) বিভাগে কবিতা, ছড়া, চিত্রাঙ্কন, প্রবন্ধ ( কমপক্ষে ১৮ শ শব্দে), গল্প, নাটক, লোকগীতি, থিম সং (ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে)।
প্রতিযোগিতার বিষয় সমূহ : ১.মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ এর ব্র্যান্ড, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হাজীগঞ্জ নামকরণের ইতিহাস-কবিতা বা ছড়া, থিম সং (ধর্মীয় চেতনাযুক্ত), (বড় মসজিদ বা বাজার কেন্দ্রিক) হাজীগঞ্জ এর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের ভূমিকা, অন্যান্য যে কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থান ও স্থাপনা (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, পুকুর-দিঘী, খাল-বিল, নদী-নালা ইত্যাদি হাজীগঞ্জ বাজারের (মকিমাবাদ ও তার পাশর্^বর্তী এলাকাসহ কমপক্ষে ৪০-৪৫ বছরের) ভূ-প্রকৃতির পরিবর্তন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা (বর্তমান পর্যন্ত)। ২. সূচনা থেকে বর্তমান, হাজীগঞ্জ সাব-রেজেস্ট্রি অফিস, তহশীল অফিস, পোস্ট অফিস, ডাকবাংলো, থানা, পৌরসভা ও উপজেলা।
৩. হাজীগঞ্জ এর শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, বিভিন্ন সমিতি-সংঘ, ক্লাব, সফল ব্যবসায়ী, ব্যবসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ক্ষেত্রে অতীত ও বর্তমান, উৎপাদিত ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য, গ্রামীণ ঐতিহ্যে ঋতু ভিত্তিক খাদ্য তৈরি, জীবনাচার,কৃষ্টি, জনজীবন ও খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যটন ক্ষেত্রে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। ৪. হাজীগঞ্জ উপজেলাস্থ বিভিন্ন পর্যায়ের সফল শিক্ষক, গুণী ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব, নিবেদিত প্রাণ স্বনামধন্য জনপ্রতিনিধি (সাবেক ও বর্তমান)।
উল্লেখিত বিষয়ের প্রতিযোগিদের মধ্যে যারা বিজয়ী হবেন- তাদেরকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনদ, ক্রেস্ট এবং অর্থ পুরুষ্কার প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিভাগে বিষয় অনুযায়ী থাকবে পুরস্কার।
এর মধ্যে প্রবন্ধে ৩ বিভাগে ৯ জন, কবিতা বা ছড়া ৫ বিভাগে ১৫ জন, থিম সং প্রতি বিভাগে ১ জন করে ৩ জন, লোক সংগীত প্রতি বিভাগে ১ জন করে ৩ জন, গল্প বা নাটক ২ বিভাগে ১২ জন ও চিত্রাঙ্কনে ৫ বিভাগে ১৫ জনসহ ৫৭ জনকে পুরস্কৃতসহ সেরাদের সেরা মানের চিত্রাঙ্কন এবং লেখাগুলো লেখকের নাম ও ঠিকানসহ প্রস্তাবিত ‘হাজীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধি’র বইতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে আলোকিত এবং অনুকরণীয় হাজীগঞ্জ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ‘প্রতিভার খোঁজে’ লেখা আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদ, নগদ অর্থ, ক্রেস্ট বিতরণ করা হবে।
আবদুল গনি
নভেম্বর ১ , ২০২৩
এজি