করোনা রোগীর বাড়ী লকডাউন শেষে খবর জানা গেলো চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেও করোনায় আক্রান্ত। ২৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ওই রিপোর্ট পজেটিভ বলে নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাখাওয়াত উল্লাহ। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো হাজীগঞ্জ উপজেলায় আতংক বিরাজ করে।
দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই চাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে হাজীগঞ্জের ইউএনও সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বেশ সরব ছিলেন। তার নেতৃৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সিভিল সার্জেন জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার শীর্ষ এক কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ এসেছে। ঢাকার শিশু হাসপাতালে টেস্ট করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। গত ২৭ এপ্রিল সোমবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ নিয়ে চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ বাজারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ভবনে লকডাউন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া ও স্থানীয় প্রশাসন। ওই ভবনের এক ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা পজেটিভ আসে। এদিকে প্রশাসনিক ওই শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জেনের পরমার্শনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন বলেন বিশ্বস্থ সূত্রে জানিয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই চাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে হাজীগঞ্জের ইউএনও সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমে বেশ সরব ছিলেন। তার নেতৃৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এইচএম শোয়েব আহম্মেদ চিশতী বলেন, আক্রান্ত ব্যাক্তি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি ঢাকায় থাকতেন। গত ১৮ এপ্রিল হাজীগঞ্জে আসেন। এরপরে তার শ্বশুর মারা যাওয়ার পরে তিনি চট্টগ্রামে যান। সেখানে থেকে এসে ২৭ এপ্রিল করোনা আছে এমন সন্দেহে নিজ উদ্যোগে আমাদের কাছে পরীক্ষা দেন। আজ ২৯ এপ্রিল তার রিপোর্ট আসলে জানতে পারি পজেটিভ। তবে তার কোন উপসর্গ নেই। তিনি এখন বাড়ীতেই আছেন। প্রয়োজন হলে তাকে আইসোলেশনে নেয়া হবে। এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর সদর ও উপজেলাসহ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১৪ জন। নতুন করে রিপোর্ট এসেছে ৩৯ জনের। এর মধ্যে ইউএনও এবং ব্যাংক কর্মকর্তার রিপোর্টও পজেটিভ এসেছে। এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাঘড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী খোরশেদ আলম (৫০) এর রিপোর্ট মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পাওয়াগেছে। বিষয়টি চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন, মডেল থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানার পরে ওই বাড়ীটি লকডাউন করে দিয়েছেন এবং খোরশেদ আলমের পরিবারের ৩ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করেছেন।
প্রতিবেদক : মনিরুরজামান বাবলু ও জহিরুল ইসলাম জয় , ২৯ এপ্রিল ২০২০