লাল সবুজ স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে হাজীগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

হাজীগঞ্জ লাল সবুজ স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বন্যার্তদের মাঝে সপ্তাহব্যাপি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সংগঠনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কগণ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে পরিচালিত টীমগুলোর সংগৃহীত ত্রাণের খাবার প্যাকেট ঐ সকল বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার বানের পানির চাপে হাজীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শত শত বাসিন্দা এক সপ্তাহের অধিক সময় পানিবন্দি হয়ে আছে। একই সাথে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি নিয়ে লোকজন খুবই বিপাকে রয়েছেন।

এসব এলাকায় দুর্গত লোকদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু সহায়তা দিলেও রান্না বান্না করে খাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। শুরুতে পানিবন্দি লোকজন কিছু শুকনো খাবার পেলেও এখন চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। তাদের গ্রামের বহু বাড়িঘর পানির নিচে। গোয়ালঘর, টয়লেট এবং রান্নাঘর গুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় চরম সংকটের মধ্যে রয়েছেন। কেউ কেউ উঁচু জায়গায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠলেও অনেকেই এখন পর্যন্ত পানির সাথেই বসবাস করছেন।

গ্রামের এক বন্যার্তা বলেন- তার বসতঘরটি গত এক সপ্তাহ পানির নিচে। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে খুব বিপাকে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোন ধরনের সহায়তা আসেনি। বানের পানির কারণে তাদের রাস্তা তলিয়েগেছে। তারা এখন মূল ইউনিয়নের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রত্যেকটি ঘরে হাঁটু সমান পানি। খাবার রান্না করার পরিস্থিতি নেই। খুবই অসহায় অবস্থায় আছেল বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে এসব লোকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।

লাল সবুজ সংগঠনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কগণের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে পরিচালিত টীমগুলোর সমন্বয়কগণের মধ্যে ছিলেন- আতিকুর রহমান ,আবদুল কাদের,মোবারক হোসেন ,সফিকুল ইসলাম, রিপন মোল্লা,সাইফুল ইসলাম, রিগান , রায়হান মোল্লা ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের সংগৃহীত ত্রাণ ও অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করতে পেরে মহান আল্লাহর কাছে সমন্বয়কগণ কৃতজ্ঞতা জানান।

আবদুল গনি
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এজি

Share