Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে ৫ শ হেক্টর জমি চাষাবাদ ধীরগতি
হেক্টর

হাজীগঞ্জে ৫ শ হেক্টর জমি চাষাবাদ ধীরগতি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সরকারী খালে সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ না হওয়ায় প্রায় ৫শ হেক্টর কৃষি জমি চাষাবাদে ধীরগতি দেখা দেয়। কিছু মাঠে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মটর থাকলেও পরিচালনার অভাবে কৃষকদের ইরি বোরো চাষাবাদে তেমন কোন কাজে আসছে না। তাইতো স্ক্রিম ম্যানেজার ও স্থানীয় কৃষকদের প্রাণের দাবি পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে মরা খালগুলো খননের বাস্তবায়ন চাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  উপজেলার ৮ নং হাটিলা পূর্ব  ইউনিয়নের বলিয়া, বেলঘর দক্ষিণ, হাড়িয়াইন উত্তর, লাউকরা পশ্চিম, রাজাপুরা দক্ষিণ,  আকানিয়া পশ্চিম, পদুয়া কৃষি মাঠসহ প্রায় ৫০০ একর আবাদি জমিতে পানি নিষ্কাশনের জটিলতা দেখা যায়। 

পানি নিষ্কাশনের জটিলতার কারনে এ মাঠের কিছু অংশে দুই ধরনের ফসল উৎপাদনের সুযোগ থাকে। গত কয়েক বছর ধরে সেচ প্রকল্পের জটিল দেখা দিলে অনেক আবাদি জমি চাষাবাদ ছাড়াই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরই মধ্যে উপজেলা বিএডিসি আওতায় মাঠের কিছু অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সঠিক ভাবে পানি পাচ্ছে না এখানকার কৃষকরা।  তাছাড়া গত বছর বিএডিসি পাম্প থেকে পানি না উঠার দুর্ভোগে অনেক কৃষক চাষাবাদ করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে বলিয়া, বেলঘর দক্ষিণ, হাড়িয়াইন উত্তর, লাউকরা পশ্চিম, রাজাপুরা দক্ষিণ,  আকানিয়া পশ্চিম, পদুয়া মাঠ ৫০০ একর কৃষি মাঠ পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৩ টি ভাসমান পাম্প চলমান রয়েছে। 

১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে বেলঘর পূর্ব মাঠে  ভাসমান পাম্পের স্ক্রিম ম্যানেজার মাহবুব আলম পাটোয়ারী পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্পের কাজ শুরু করেন।

পূর্বের ড্রেন মেরামত করে সেচের পানি লাইনের কাজ করছে।  মূলত সমতাল ভাবে দূরবর্তী আবাদি জমিতে পানি প্রবেশের জন্যই কৃষকদের সুবিধার্থে এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহন করে স্ক্রিম কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কৃষক কামাল গাজী, ছাত্তার মাষ্টার, আক্তার হোসেন, বলেন, আমাদের সাত গ্রামের কৃষি মাঠে প্রায় ৫০০ একর আবাদি জমি রয়েছে। পূর্বে এ মাঠ থেকে টনে টনে ধান উৎপাদন হতো। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের জটিলতা দেখা দেওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কৃষকদের চাষাবাদের কথা মাথায় রেখে মরা খালগুলো খনন করা। 

ভাসমান পাম্প স্ক্রিম ম্যানেজার মাহবুব আলম পাটোয়ারী বলেন, বলিয়া, বেলঘর, হাড়িয়াইন, লাউকরা, রাজাপুরা, আকানিয়া ও পদুয়া মাঠ মিলে প্রায় ৫০০ হেক্টর চাষাবাদের জমি রয়েছে। এসব মাঠের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এ বছর ১৩ টি ভাসমান পাম্প রয়েছে। যেখানে ১৫ জন শ্রমিক পানি বন্টনে নিয়োজিত আছে। খাল খনন হলে এবং কাঠালি ব্রীজের পাড়ে পানি সরবরাহ বাধা পড়ায় সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএডিসি অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা পর্যাক্রমে উপজেলার সবগুলো খালের খনন কাজ সম্পন্ন করবো। তবে যেসব এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জটিলতা দেখা দেয় সেখানকার স্ক্রীম ম্যানেজার বা সমিতির আবেদনের ভিত্তিতে খননের সুপারিশ পাঠাবো।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, কৃষকদের সুবিধার্থে পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খননের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ রাখবো। 

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,১৭ জানুয়ারি ২০২৪