Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে ৩৬ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে গাইড বই চালানোর অভিযোগ
অর্থের বিনিময়ে গাইড বই চালানোর

হাজীগঞ্জে ৩৬ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে গাইড বই চালানোর অভিযোগ

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে ৩৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের সাথে আতাত করে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাইড বই চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। গাইড বই নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনকে তোয়াক্কা করছেনা কেউই।

চলতি বছর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের দ্ধন্দের কারনে গাইড বই পাঠ্য করাতে পারেননি প্রকাশনীগুলো। এ জন্য প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের কয়েক লক্ষ টাকার অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে ম্যানেজ করে কোম্পানীর বই পাঠ্য করিয়েছেন।

সূত্রমতে যেসব প্রকাশনীর গাইড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাঠ্য হয়েছে,লেকচার পাবলিকেশন্স’র গাইড-গ্র্যামার-আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়, সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়, পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়,মৈশাইদ পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়, পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, হাটিলা ইউনিয়ন টংঙ্গীরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়, রামচন্দ্রপুর ভুইয়া একাডেমি। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স’র গাইড-নাসির কোট উচ্চ বিদ্যালয়, বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।

পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর সংসদ গাইড-মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বোরখাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ক্লাসফ্রেন্ড পাবলিকেশন্স’র গাইড বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়। গ্যালাক্সি পাবলিকেশন’র গাইড-দেশগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আনোয়ার আলী মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, বেলঘর স্কুল। ফাহাদ বুক গাইড-বলাখাল জেএন স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মেনাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। অনুপম পাবলিকেশন্স গাইড সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়কুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রকাশনীগুলোর পরিবেশক হচ্ছেন, মির্জা লাইব্রেরী, সাথী লাইব্রেরী (লেকচার পাবলিকেশন), মাসুদ লাইব্রেরী (পুঁথিনিলয় সংসদ), মির্জা লাইব্রেরী (পাঞ্জেরী পাবলিকেশন), মাসুদ লাইব্রেরী (গ্যালাক্সি পাবলিকেশন), আজাদ লাইব্রেরী (ফাহাদ বুক), মির্জা লাইব্রেরী (অনুপম), আজাদ লাইব্রেরী (ক্লাসফ্রেন্ড), সবুজ লাইব্রেরী (ক্যাপটেন)।

কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, প্রকাশনী থেকে উৎকোচের টাকা পেয়ে গাইড কিনতে নির্দেশনা দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা।

হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,নোট বা গাইড বই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।মন্ত্রনালয় থেকে চিঠি পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বই লাইব্রেরীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জাকারিয়া বলেন, সরকার গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। এসব বিষয়ে প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেট