হাত অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় চিরবিদায় নিলেন ৩ সন্তানের জননী কুলসুমা বেগম (৩৩)। নিহত কুলসুমা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
স্বজনরা ৫/৬ ঘন্টা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখলেও শান্তনা পায়নি। পুলিশ তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে, এমন আশ্বাস দিয়ে রোগীর পরিবারকে শান্ত করেন। নিরুপায় স্বজনরা শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহত কুলসুমা বেগমকে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের কবরস্থানে দাফন করেন।
কুলসুমা বেগমের স্বামী ইসমাইল হোসেন জানান,বাসায় দূর্ঘটনাবশত তার স্ত্রীর ডান হাতের কব্জির একটি হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল।
হাজীগঞ্জের গোল্ডেন হাসপাতাল এন্ড সিটি স্ক্যান সেন্টার নামক একটি বে-সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মুহিবুল আলমের সাথে ৪০ হাজার টাকায় হাত অপারেশনের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী টাকা প্রদান করা হয়। শুক্রবার দুপুরে রোগীকে হাসপাতালে নেন। জুমার নামাজ পড়তে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়।
নামাজ পড়ে আসলে ডাক্তার জানান, আপনারা রোগীকে দ্রুত কুমিল্লায় নিয়ে যান। কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর তারা জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন।
স্বজনদের দাবি, অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে অজ্ঞান করতে গিয়ে ডাক্তার তাকে মেরে ফেলেন। দায় থেকে বাঁচতে তারা রোগীকে দ্রুত কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে গোল্ডেন হাসপাতালের অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার কাউসার আহমেদ (কায়েস)কে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ) ও (শাহরাস্তি-কচুয়া) মো. আফজাল জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। রোগীর পক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,২০ জুন ২০২০