চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিন ধরে বন্ধি রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং০৫।
শুক্রবার(২ আগস্ট) ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল চেকআপ করাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলায় বিবাদীরা হলো বখাটে সাখাওয়াত হোসনে (২০), তার বড় ভাই মীর হোসনে (২৬) ও বাবা মো. আবদুল লতফি।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, উপজলোর গর্ন্ধব্যপুর উত্তর ইউনয়িনরে জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীর্ক্ষাথী (১৮) ওই ছাত্রী। প্রতদিনি স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই ইউনয়িনরে মোহাম্মদপুর গ্রামরে র্পূব ফরাজী বাড়ীর আবদুল লতিফের ছেলে সাখাওয়াত প্রেম নিবেদন করে।
গত ২৯ জুলাই সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে সাখাওয়াতসহ কয়কেজন ওই ছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে সিএনজিতে করে অপহরণ করে। পরর্বতীতে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে সে বুঝতে পারে একটি বহুতল ভবনের বন্ধ ঘরে সে আছ। সাখাওয়াত অপহরণ করে তাকে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কয়েকবার র্ধষণ করে।
গত ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টায় ওই নির্যাতিত ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তাদের গ্রামের বাড়ীর সম্মুখে এনে ফেলে দিয়ে যায়। বাড়ীর লোকজনের শোর-চিৎকারে তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের সকলকে ঘটনাটি খুলে বলে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসনে রনি জানান, তিনজনকে বিবাদী করে নির্যাতিত ছাত্রীর বড় ভাই মামলা দায়ের করেছে। ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল চেকআপ করাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিনিয়র করেসপন্ডেট
২ আগস্ট ২০১৯