চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সরকারি হালট, খাল-বিল যেন সু-কৌশলে দিনের পর দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতিবছর কৃষি জমি চাষাবাদে সঠিক সময় পানি সেচের সুযোগ না থাকায় ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। যুগের পর যুগ সরকারি ভাবে তদারকি না থাকায় অনেক হালটের অংশ পাশ্ববর্তী জমির সাথে একাকার হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাচৈই পশ্চিম কৃষি মাঠে শত বছরের ব্যবহিত সরকারি হালট। যে হালট দিয়ে সেচ পানি সরবরাহ হতো।
বর্ষার পানি এ ছোট খাল দিয়ে ফরিদগঞ্জের মনতলা মূল খালে লাইন ছিল। একই ভাবে সেচ পানি এ ছোট খালটি দিয়ে কৃষকের আবাদি জমিতে চাষাবাদের কার্যক্রম চলাচল করে আসতো। কিন্তু কালের পরিক্রমা সেই সুরো খালটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
দুই পাশের জমির মালিকেরা প্রতিবছর জমির আবর্জনা পেলে সু-কৌশলে সরকারি হালট দখল করে রেখেছে। যে কারনে এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা ঠিকমত সেচ পানি জমিতে সরবরাহ করতে পারছেনা। এমনকি অতি বৃষ্টিপাত হলে পানি নামার কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় জমি ডুবে ধান নষ্ট হচ্ছে।
পাচৈই গ্রামের কৃষক মিরাজ, রহিম, জহির, পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জের মনতলা গ্রামের কৃষক ইয়াছিন ও বাবুল মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, দুই উপজেলার সংযোগ ছোট সরকারি হালট দিয়ে এক সময় পানি নিষ্কাশন হতো। বর্তমানে দুই পাশের জমির মালিকদের দখলে রয়েছে হালটটি। সরকার তা উদ্ধার করে যদি পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করতো তাহলে পাচৈই ও মনতলা কৃষি মাঠের কৃষকদের চাষাবাদে অনেক সুবিদা হবে।
স্থানীয় পাচৈই গ্রামের ইউপি সদস্য মনির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, পাচৈই ও মনতলা দুই গ্রামের এ খালের উপর একটি ছোট সেতু রয়েছে অথচ পানি নামার ব্যবস্থা নেই। তাই আমি সরকারের কৃষি অধিদপ্তরে সু-দৃষ্টি কামনা করছি যেন সরজমিন তদন্তে এসে সুরু খালটি খননের ব্যবস্থা করে। তাহলে প্রায় ৬ শ একর কৃষি জমি চাষাবাদে সুফল লাভ করবে কৃষকরা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা আছে যেখানে খাল-বিল রয়েছে তা দখল উদ্ধার করে খনন পূর্বক সেচ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা। যেখানে হোক আমরা অচিরেই সরেজমিন গিয়ে তার যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ১৬ মে ২০২২