Friday, April 24, 2015 09:24:43 PM
জহিরুল ইসলাম জয় :
হাজীগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে দেওয়া ১৪ টি ল্যাপটপ শিক্ষদের বাসায় মাসের পর মাস ব্যবহার হচ্ছে। অথচ সরকার ডিজিটাল প্রদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের লক্ষ্যে এসব ল্যাপটপ বিদ্যালয় প্রদান করে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথমে ২০১১ সনে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে ও পরবর্তী ২০১২ সালে আরো ৫ টি বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ পেয়ে থাকে।
এভাবে পর্যায়ক্রমে আরো ১২টি ল্যাপটপ উপজেলা ও জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের মাধ্যমে ৮টি বিদ্যালয় পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ল্যাপটপ কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দূরে থাক সহকারী শিক্ষকরা পর্যন্ত কোনোদিন চোখে দেখেনি। আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে প্রথম কয়েক মাস ডিজিটাল ক্লাস নিলেও পরবর্তী সময়ে আর ল্যাপটপের ক্লাস হয়নি। এমনকি কিছু শিক্ষক সরকারি ল্যাপটপ বাসায় নিয়ে তাদের সন্তানরা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জেলা শিক্ষা অফিস হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের টিও ও এটিওদের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ল্যাপটপ প্রদান করে এবং সেই সাথে মনিটরিং দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অথচ উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা কোনোদিন খোঁজ নেয়নি। মনেহয় তা না হলে সরকারি ল্যাপটপ শিক্ষকদের ছেলে-মেয়েরা ব্যবহার করে কীভাবে? এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থী ও তাদের সচেতন অভিভাবকদের ।
হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা শুরু থেকে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে আসছি। তবে তার কাছে সরকারি ল্যাপটপ পেলেও বাকি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে গিয়ে কোন ল্যাপটপ প্রধান শিক্ষকরা দেখাতে পারেনি।
হাজীগঞ্জ গালস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩টি ল্যাপটপ অথচ একটি ল্যাপটপ বিদ্যালয়ে নেই। এই রকমভাবে বেশিভাগই গ্রাম্য বিদ্যালয়গুলোর প্রধানদেরই এই ধরনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।
এসব বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি আশার পর ৮টি ল্যাপটপ দিয়েছি।
তবে এ ধরনের অভিযোগ এর আগে আমার নজরে আসেনি। সত্যতা যাছাই করে ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/এআরএস/২০১৫
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes