চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার অন্যতম বৃহত্তর বাজার হচ্ছে চেঙ্গাতলি। যেখানে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। তাছাড়া সকাল বিকাল এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে মুদি, জামাকাপড়, ওষুধ, খাদ্যের দোকানসহ হাসপাতালে সাধারন মানুষের উপস্থিতি লেগেই থাকে।
হাজীগঞ্জের চেঙ্গাতলি বাজারটির উপর দিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় যানবাহন চলাচলে থাকে ভিড়। প্রতিদিনই চেঙ্গাতলি বাজারের দক্ষিণ পাশে নাসিরকোর্ট ইউনিয়ন পরিষদ, নাসিরকোর্ট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদে যাওয়া আসায় মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চেঙ্গাতলি বাজারে সড়কের দুই পাশে একাধিক স-মিল চলমান রয়েছে। যেখানে নেই কোন পরিবেশের নিয়মনীতি। যে যার মত করে কোন প্রকার বস্তার চোঠি ছাড়াই চালাচ্ছে করাত কলের মেইল। আর এতে করে যাত্রী সাধারনসহ জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এসব স-মিলের করাতের গাছের গুড়ি ও দূলাবালু মানুষের চোঁখে মুখে পড়ছে। সেই সাথে ইঞ্জিন চালিত মিশিনের শব্দ দূষণ মানুষ যেন যানবাহনের হরনের আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পারছেনা। তাছাড়া চেঙ্গাতলি বাজারে সড়কের উপর স-মিলের গাছের গুড়ি পেলে রাখায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলরত অবস্থায় পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে।
খোজনিয়ে দেখা যায় চেঙ্গাতলি বাজারে এসব স-মিলের মালিক হচ্ছে, মালাপাড়া গ্রামের
ইলিয়াছ ও শাহাজান, মতলব এলাকার বারেক মেম্বার, স্থানীয় কাদের এবং হাসানাত খাঁর। যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকিদের স-মিলের নেই কোন বন বিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরে কাগজপত্র।
স্থানীয় পথচারী মোজাম্মেল, হাবিব, নজরুল, ছাত্র মামুনসহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এ চেঙ্গাতলি বাজারে নেই কোন প্রশাসনের নজর। তাই যে যারমত করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স-মিলের মালিকেরা সরকারি হালট সম্পত্তি দখল ও সড়কের উপর গাছের ফাইল সারিবদ্ধ ভাবে রেখেছে। আমরা চলাচল করতে গিয়ে গাড়ীর সামনে পড়ে পার হতে হয়। তাদের করাত কলের গুড়ি চোঁখে মুখে ডুকে যায়। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
স-মিলের মালিক হাসনাত খাঁ বলেন, আমরা চারদিকে বস্তা দিয়ে আবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। মানুষের প্রয়োজনে গাছ নিয়ে কাঠ তৈরি করে নিয়ে যায়, সেই সেবা আমরা নিয়মের মধ্যে দিয়ে আসছি। তবে বস্তা দিয়ে প্রবেশপথ বন্ধ রাখবো।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, আমরা ইতিপূর্বে এখানকার স-মিল মালিকদের নিয়ম মেনে তাদের প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য বলেছি, তার পরেও তারা যদি কথা না রাখেন তাহলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, আমরা ইতিপূর্বেও নানা নির্দশনা মেনে স-মিল চালাতে বলেছি, শেষ বারেরমত আবারো বলে দিবো।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২