চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক শিশু সন্তানকে হত্যা করে মাটির ঘরের মধ্যে পুতে রাখলো সৎ মা। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজীগঞ্জ ও রামগঞ্জ দুই উপজেলার মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সোমবার বিকালে পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধারকালে উৎসক জনতার ভিড়ের মাঝে ব্যাপক বেক পেতে দেখা যায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত তিন দিন পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের শাহ মিরানের প্রথম ঘরের তিন বছরের শিশু সন্তান আহমদ হারিয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস এর তথ্যে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন। পুলিশের তদন্তে সিসি ফুটেজে দেখেন সৎ মা কোহিনুর বেগম তার বাবার বাড়ী লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর চৌকিদার বাড়ীতে নিয়ে যায়, কিন্তু ফেরার সময় আর সাথে নিয়ে আসেনি।
পুলিশের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হলে সৎ মা কোহিনুরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসার পর চাঞ্চল্য তথ্য বেরিয়ে আসে। এক প্রকার তিনি স্বীকার করেন তাকে হত্যা করে বাবার বাড়ির বসতঘরে খাটের নিচে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘাতক মহিলাকে নিয়ে রামগঞ্জ থানার পুলিশের সহায়তায় শিশুর লাশ দরবেশপুর চৌকিদার বাড়ী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
শিশুর লাশ উদ্ধারের সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল, হাবিব ও জহির বলেন, আমরা খবর শুনে হাজীগঞ্জ থেকে এ রামগঞ্জে এসে দেখি পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইর সৈয়দ বলেন, আমরা তদন্তপূর্বক জানলাম সৎ মায়ের হাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
পাশ্ববর্তী রামগঞ্জ থানার দরবেশপুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা ও লাশ ময়নাতদন্তের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,২৮ আগস্ট ২০২২