Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ
teacher

হাজীগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের (ছাত্রী) সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগে আহসান হাবিব নামের এক সহকারী মৌলভী বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

শনিবার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া বরাবর এই লিখিত অভিযোগ দেন, হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ২নং কক্ষের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

৭ ফেব্রুয়ারি গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কক্ষের দায়িত্ব পালনকারী কক্ষ পরিদর্শক আহসান হাবিব পরীক্ষার্থীদের সাথে অশালীন বাক্য ব্যবহার, খাতা টেনে-হিঁচড়ে নেয়া, পরীক্ষার্থীদের (ছাত্রী) গায়ে হাত দেয়া এবং থাপ্পড় মারার অভিযোগে এনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরীক্ষার্থীরা। যার অনুলিপি কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রদান করেছেন তারা।

আহসান হাবিব উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কাশিমিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী। তিনি চলতি দাখিল পরীক্ষায় হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, ‘গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কক্ষ পরিদর্শক মো. আহসান হাবীব পরীক্ষার শুরু থেকে বিভিন্ন কথা-বার্তা বলে পরীক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করেন এবং অশালীন বাক্য ব্যবহার করে পরীক্ষার খাতা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে বাজে কথা বলেন। খাতা চাইলে বলেন ২০ মিনিট বা ৩০ মিনিট পরে খাতা পাবে। অনুরোধ করতে গেলে গায়ে হাত দেয় এবং থাপ্পর মেরে বলেন বস, বস। তার কিছু আচরণ লজ্জ্বায় বলতে পারি না। এই অশালীন আচরণের বিষয়টি তাৎক্ষণিক হল সচিবকে অবহিত করা হয়।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষকের বিরুদ্ধে এহেন আচরণে আর যেন কোন পরীক্ষার্থী ভূক্তভোগি না হয়, তাহার বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন ১৫ জন স্বাক্ষরিত পরীক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে আহসান হাবিবের সাথে কথা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথা বলে মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

কেন্দ্র সচিব ও হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হেফজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেট
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৯